‘ফুটবলের স্বর্ণ জিতবে ব্রাজিল?’

২০১৪ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই দেশে। আশা নয় কেবল, অনেকের কাছে নিশ্চিতই ছিল ব্রাজিল জিততে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। প্রত্যাশা অনুযায়ী সেমিফাইনালেও পৌঁছে যায় নেইমারের দল। কিন্তু সিজার, গুস্তাভো, অস্কারদের কান্নায় ভাসিয়ে ফাইনালে চলে যায় জার্মানি। সাত গোল হজম করে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়।
দুই বছর পর ব্রাজিলে আবার শুরু হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া আসর-অলিম্পিক। আর রিও অলিম্পিকের ফুটবলের ব্রাজিলের পুরুষ ও নারী উভয় দল অংশ নিচ্ছে।
বিবিসি ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতেই জানতে চেয়েছে ব্রাজিল কি জিতবে এবার স্বর্ণ?
রিওর সমুদ্র সৈকতে ফুটবল খেলছিল কিশোর-কিশোরীরা। প্রশ্নটা ছিল তাদের কাছেই।
১৪ বছর বয়সী এরিক নিশ্চিত এবার ব্রাজিলই ফুটবলে স্বর্ণ জিতবে। এরিক জানায়, ব্রাজিলের এবারের দলটি আগের চেয়ে শক্তিশালী। এরা দারুণ খেলছে। এরিকের প্রিয় ফুটবলার নেইমার। এরিক বলে, ‘নেইমার অসাধারণ। ও দুর্দান্ত খেলে।’
কিশোরী মায়ারা একই কথা জানায়। মায়ারা বলে, ‘আমি নেইমারকে পছন্দ করি কারণ সে এমন একজন ফুটবলার যে সবসময় ভালো খেলে। নেইমার খুব সাধারণ একটা পরিবার থেকে এসেছে। এখন তাঁদের যা আছে। অতীতে তা ছিল না। নেইমারের খেলা অসাধারণ।’
কিশোরী লারিসা তো সোজাসাপ্টা উত্তর। ‘নেইমার ছাড়া দলটি কিছুই না।’
তবে নেইমারের পাশাপাশি নারী ফুটবলার মার্তাও খুব জনপ্রিয়। এরিক তো মার্তারও ভক্ত। এরিক বলে, ‘আমি নারী ফুটবল দলটিকেও পছন্দ করি । কারণ তারা দারুণ খেলে। তারা একসঙ্গে খেলতে খুব পছন্দ করে । আর মার্তা তো এক কথায় অসাধারণ। যখন মার্তা ভালো খেলে তখন সে নেইমারের পর্যায়ে খেলে।’
মায়ারা নিজেও ফুটবল খেলে। মায়ারা বলে, ‘শৈশব থেকেই আমি মার্তাকে অনুসরণ করি। তাঁর খেলার ধরনটি আমার পছন্দ। মার্তা গোল করার ধরনটা দারুণ। মার্তা অনেক সুন্দর সুন্দর গোল করে।’
লারিসার ভাষায়, ‘মার্তা খুব দ্রুত দৌঁড়াতে পারে। দারুণ খেলে। অনেক স্কিল আছে মার্তার। মার্তা জানে কী করে সেরা খেলাটা খেলতে হয়।’
কেবল নেইমারদের ব্যাপারে না ব্রাজিলিয়ান কিশোর-কিশোরীদের বিশ্বাস ব্রাজিলের নারী ফুটবল দলের গলায়ও ওঠতে যাচ্ছে সোনার পদক।
তবে যাই হোক অতীতের শোক ও লজ্জা ভুলতে চায় গাব্রিয়েল। কিছুতেই সে ভুলতে পারছে না ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দুঃস্বপ্ন। গাব্রিয়েল বলল, ‘ব্রাজিল জিতলে দারুণ লাগবে। কারণ গেমসটা হচ্ছে ব্রাজিলেরই মাটিতে। বিশ্বকাপের সময় আমরা যে লজ্জা পেয়েছিলাম তা সরানোর একটা সুযোগ এসেছে আমাদের। এটাই একটা সুযোগ যার মাধ্যমে আমরা ওই অতীতটা ভুলতে পারব।’