প্রিয় বন্ধু যখন ফেল্পসের প্রতিদ্বন্দ্বী
রায়ান লক্টির সঙ্গে মাইকেল ফেল্পসের বন্ধুত্বর বয়স প্রায় এক যুগ। তবে শুধু বন্ধু নয়, সুইমিং পুলে দুজনে একে অন্যের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীও। লড়াই হবে আগামীকাল সকালেও। রিও অলিম্পিকে ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলের ফাইনালে মুখোমুখি হবেন ফেল্পস আর লক্টি।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে ফেল্পস পা রেখেছিলেন ১৮টি অলিম্পিক স্বর্ণজয়ের অসাধারণ কীর্তি নিয়ে। রিওতে এরই মধ্যে তিনটি শিরোপা জিতে মার্কিন সাঁতার কিংবদন্তি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনতিক্রম্য উচ্চতায়। গত মঙ্গলবার অলিম্পিকে ২০ ও ২১তম স্বর্ণ জিতে নেওয়া ফেল্পসের সামনে এখন ২২তম স্বর্ণ জয়ের চ্যালেঞ্জ।
২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলের সেমিফাইনালে ফেল্পসের টাইমিংই সবচেয়ে ভালো ছিল। এক মিনিট ৫৫.৭৮ সেকেন্ড টাইমিং নিয়ে ফাইনালে ওঠা ‘বাল্টিমোর বুলেটে’র ঘনিষ্ট বন্ধুর সঙ্গে আরেকটি লড়াই সম্পর্কে অভিমত, ‘তার সঙ্গে আমার লড়াইয়ের ইতিহাস সত্যিই বিশেষ ঘটনা। আমরা ১২ বছর ধরে লড়াই করছি। আগামীকালের লড়াইও মজার সঙ্গেই করব। এই দীর্ঘ সময়ে রায়ানের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। আমরা আরো একবার পুলে ঝাঁপাব আর শ্রেষ্ঠত্ব ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করব।’
কালকের ইভেন্টে গত তিনটি অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছিলেন ফেল্পস। তবে বিশ্ব রেকর্ডটা লক্টির অধিকারে। সেমিফাইনালে ফেল্পসের চেয়ে ঠিক আধা সেকেন্ড পিছিয়ে থাকা লক্টি প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে আবারো পুলে নামার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত, ‘তাকে (ফেল্পস) হারাতে হলে নিখুঁত পারফরম্যান্স প্রয়োজন। কারণ সে ভীষণ কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। সে কখনো হাল ছেড়ে দেয় না আর সেটাই সবচেয়ে অসাধারণ ব্যাপার। তার এই গুণই আমার ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনে।’
তবে কাল ফল যা-ই হোক, এক বছরের ছোট ফেল্পসের সঙ্গে বন্ধুত্বে চিড় ধরবে না বলেই লক্টির বিশ্বাস, ‘আমরা ২০০৪ সাল থেকে লড়াই করছি। সে আমার মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী। পুলে নামলে আমরা সবসময় জয়ের চেষ্টা করি। এটাই আমাদের লড়াইয়ের প্রবণতা। তবে হার-জিতকে পাশে রেখে আমরা ভালো বন্ধুই থাকব।’