দ্রুততম মানবী এলাইন টম্পসন

সর্বশেষ দুটি অলিম্পিকেই ১০০ মিটার দৌড়ের স্বর্ণপদক জিতেছিলেন শেলি-অ্যান ফ্রেজার প্রাইস। আট বছর ধরে তাঁকেই বলা হতো বিশ্বের দ্রুততম মানবী। কিন্তু এবারের রিও অলিম্পিকে সেই খেতাব হাতছাড়া হয়ে গেল জ্যামাইকান এই অ্যাথলেটের। এখন থেকে বিশ্বের দ্রুততম মানবী হিসেবে উচ্চারিত হবে ফ্রেজারেরই স্বদেশি ও অনুশীলনের সঙ্গী এলাইন টম্পসনের নাম।
১০.৭১ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে স্বর্ণ জিতেছেন টম্পসন। ১০.৮৩ সেকেন্ডে ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে রৌপ্যপদক জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টোরি বোউয়ি। আর তৃতীয় স্থান দখল করে ব্রোঞ্জপদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ফ্রেজারকে। গত দুই অলিম্পিকের স্বর্ণজয়ী ফ্রেজারের টাইমিং ছিল ১০.৮৬ সেকেন্ড। হেরে গেলেও অবশ্য খুব বেশি আক্ষেপ করছেন না ফ্রেজার। স্বর্ণপদকটা নিজ দেশ জ্যামাইকাতেই থাকছে বলে সন্তুষ্টিই প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘১০০ মিটার ইভেন্টের স্বর্ণটা জ্যামাইকাতেই থাকছে বলে আমি খুবই খুশি।’ থম্পসনকে নিজের উত্তরাধিকারী বলেও বিবেচনা করছেন ফ্রেজার, ‘আমি জ্যামাইকাকে নিয়ে গর্বিত। আপনারা আমার উত্তরাধিকারীকে দেখুন। তাঁর (টম্পসন) জন্য আমার সত্যিই খুব আনন্দ হচ্ছে। আমি তাঁকে অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছি। ২০০৮ সাল ছিল আমার সময়। আর ২০১৬ থেকে শুরু তাঁর সময়।’
২০০৮ সালে ফ্রেজার যখন অলিম্পিক স্বর্ণপদক জিতেছিলেন, তখন টম্পসন ছিলেন ১৬ বছরের কিশোরী। ফ্রেজারকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তিনি। আট বছর পর প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে অংশ নিয়ে যে সেই ফ্রেজারকে হারিয়েই স্বর্ণ জিততে পারবেন, সেটা কল্পনাও করতে পারেননি টম্পসন। প্রথমবারের মতো অলিম্পিক স্বর্ণপদক জয়ের পর তিনি বলেছেন, ‘আমি তাঁর দিকে তাকিয়েই অনুপ্রাণিত হয়েছি। কিন্তু কখনোই ভাবিনি যে আজ আমি এখানে দাঁড়াতে পারব। ফিনিশিং লাইন অতিক্রম করার পর আমি বুঝতে পারছিলাম না যে কীভাবে উদযাপন করব।’ ১০০ মিটারের স্বর্ণ জয়ের পর আরো দুটি পদক জয়ের হাতছানি আছে টম্পসনের সামনে। আগামী সোমবার তিনি অংশ নেবেন মেয়েদের ২০০ মিটার ইভেন্টে। ৪x১০০ মিটার রিলের দলগত ইভেন্টেও লড়বেন টম্পসন।