ফেল্পসকে হারানো স্কুলিং ভালোবাসায় সিক্ত

Looks like you've blocked notifications!
দেশে ফেরার পর বাবা-মায়ের সঙ্গে অলিম্পিকে সিঙ্গাপুরের প্রথম স্বর্ণজয়ী জোসেফ স্কুলিং। ছবি : এএফপি

কয়েক দিন আগেও তাঁর নাম তেমন কেউ জানত না। অথচ সেই ‘অখ্যাত’ জোসেফ স্কুলিং আজ রীতিমতো বিখ্যাত। স্বদেশ সিঙ্গাপুরে তো তিনি জাতীয় বীর। অলিম্পিকে মাইকেল ফেল্পসকে হারিয়ে হৈচৈ ফেলে দেওয়া স্কুলিংকে আজ উষ্ণ ভালোবাসায় বুকে টেনে নিয়েছে সিঙ্গাপুরের মানুষ।

গত শনিবার ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে শুধু ফেল্পসকেই হারাননি, অলিম্পিক রেকর্ডও গড়েছেন স্কুলিং। অলিম্পিকে এটাই সিঙ্গাপুরের প্রথম স্বর্ণপদক।

এমন অবিস্মরণীয় অর্জনের পর দেশে ফিরে স্কুলিং যে বীরোচিত সংবর্ধনা পাবেন, তা জানা কথাই ছিল। সোমবার সকালে দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সিঙ্গাপুরের মাটিতে পা রেখেছেন ২১ বছর বয়সী সাঁতারু।

শারীরিক অসুস্থতার জন্য রিও ডি জেনিরোতে যেতে পারেননি স্কুলিংয়ের বাবা। তবে মা ছিলেন তাঁর সঙ্গেই। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে বাবা-মাকে পাশে নিয়ে ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে স্কুলিং বলেছেন, ‘এত সকালে এখানে আসার জন্য আপনাদের প্রত্যেককে অনেক ধন্যবাদ। এই পদক শুধু আমার নয়, আপনাদের সবারও।’

কাগজ আর কার্ডবোর্ড দিয়ে বিশাল স্বর্ণপদক বানিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন ৫১ বছর বয়সী সিলভিয়া চুয়া। জাতীয় বীরকে অভ্যর্থনা জানাতে পেরে সিঙ্গাপুরের সমান বয়সী এই নারী উচ্ছ্বসিত, ‘সিঙ্গাপুরের জন্য এটা দারুণ গর্বের মুহূর্ত। আমাদের বয়সী মানুষ এটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়। কারণ আমাদের বয়স আর জাতির বয়স তো সমান।’

দুপুরে বাবা-মাকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের সংসদে যেতে হয়েছে স্কুলিংকে। সেখানে বিশেষ সংসদ অধিবেশনে তাঁর কীর্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গে সেলফিও তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লু। যা নিয়ে মজা করতেও ছাড়েননি সিঙ্গাপুরের সরকারপ্রধান, ‘সাধারণত সেলফির জন্য লোকে আমাকে অনুরোধ করে। কিন্তু আজ জোসেফকে এমন অনুরোধ করে আমি দারুণ গর্ববোধ করছি।’

সবার ভালোবাসার জোয়ারে ভেসে যাওয়া স্কুলিং একটা বিশেষ পুরস্কারও পেয়েছেন। আগামী অলিম্পিক পর্যন্ত বাধ্যতামূলক সামরিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।