বড় জয়ে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক করে নজর কেড়েছিলেন জেমস ফকনার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিকের আনন্দটা ঠিকঠাক উপভোগ করতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ান এই পেসার। দলের হারে ম্লান হয়ে গেছে ফকনারের হ্যাটট্রিক-কীর্তি। ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে শ্রীলঙ্কাকে বড় জয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ৮২ রানের জয় দিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও ১-১ ব্যবধানে সমতা ফিরিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ব্যাট হাতে ৫৭ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলার পর বল হাতেও দুটি উইকেট নিয়েছেন ম্যাথিউস। ২৮৯ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০৬ রানেই গুটিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কারটা ম্যাথিউসের হাতে উঠলেও বল হাতে লঙ্কানদের জয়ের নায়ক ছিলেন আমিলা আপোনসো ও থিসারা পেরেরা। ৯.২ ওভার বল করে মাত্র ১৮ রান দিয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার আপোনসো। পেরেরার ঝুলিতে গেছে তিনটি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৮৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে প্রায় একাই লড়াই করেছিলেন ম্যাথু ওয়াডে। ৪০তম ওভারে ওয়াডেকে সাজঘরে ফিরিয়েই জয় নিশ্চিত করে ফেলে শ্রীলঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংসটি এসেছে ট্রাভিস হেডের ব্যাট থেকে। ৩০ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।
রানের হিসাবে ৮২ রানের এই জয়টাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জয়ের নতুন রেকর্ড। এর আগে ২০০৩ সালে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়াকে শ্রীলঙ্কা হারিয়েছিল ৭৯ রানে।
ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন তরুণ লঙ্কান ব্যাটসম্যান কুশাল মেন্ডিস। প্রথম ওয়ানডেতে ৬৭ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও খেলেছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংস। সেই সঙ্গে দিনেশ চান্দিমালের ৪৮, ম্যাথিউসের ৫৭ ও কুশাল পেরেরার ৫৪ রানের ইনিংসগুলোতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২৮৮ রান জমা করেছিল শ্রীলঙ্কা।