যেখানে অনন্য ফকনারের হ্যাটট্রিক
টানা তিন বলে তিন উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করতে গেলে সাধারণত কোনো না কোনো ব্যাটসম্যানকে ফেরাতে হয় শূন্য রানে। ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রথম ৩৯টি হ্যাটট্রিকে এমন চিত্রই দেখা গেছে। কিন্তু বুধবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভূতপূর্ব এক ঘটনাই ঘটিয়েছেন জেমস ফকনার। টানা তিন বলে যে তিন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানকে আউট করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন, তাঁদের কেউই সাজঘরে ফেরেননি শূন্য রানে।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৪৬তম ওভারে বোলিং করতে এসেছিলেন ফকনার। ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে আউট করেছিলেন কুশাল পেরেরাকে। ৫৪ রান করে সাজঘরের পথ ধরেছিলেন শ্রীলঙ্কার এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। নিজের পরের ওভারের প্রথম বলে ফকনার আউট করেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। ৫৭ রান করে সাজঘরমুখী হয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক। বাউন্ডারি লাইনে মইসেস হেনরিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে প্রান্ত বদল করেছিলেন ম্যাথিউস। ফলে নতুন ব্যাটসম্যান নয়, ব্যাটিংয়ে এসেছিলেন ১২ রান নিয়ে উইকেটে থাকা থিসারা পেরেরা। এবার পেরেরাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান ফকনার। পূর্ণ করেন নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক।
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ফকনার। ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি আটবার হ্যাটট্রিক করেছেন পাকিস্তানের বোলাররা। দুটি করে হ্যাটট্রিক আছে ওয়াসিম আকরাম ও সাকলায়েন মুশতাকের। পাকিস্তানের পর ওয়ানডেতে সাতটি হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব শ্রীলঙ্কান বোলারদের। এর মধ্যে তিনটিই লাসিথ মালিঙ্গার। ২০০৭ সালে একমাত্র বোলার হিসেবে টানা চার বলে চার উইকেট নেওয়ার কীর্তিও শ্রীলঙ্কার এই ডানহাতি পেসারের।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন চারজন বোলার। ২০০৬ সালে শাহাদাত হোসেন, ২০১০ সালে আবদুর রাজ্জাক, ২০১৩ সালে রুবেল হোসেন ও ২০১৪ সালে তাইজুল ইসলাম। এর মধ্যে তাইজুল হ্যাটট্রিক করেছিলেন নিজের অভিষেক ওয়ানডেতে। তিনিই ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছিলেন অভিষেক ম্যাচে।