আকিব জাভেদ, চামিন্দা ভাস, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, অ্যালান ডোনাল্ড -অনেকের নামই শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শেষ পর্যন্ত বেছে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার কোর্টনি ওয়ালশকে।

বৃহস্পতিবার বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষাণাও দিয়েছে, ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত  মাশরাফি-মুস্তাফিজদের পোস বোলিং কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ওয়ালশকে। এই ক্যারিবীয় কিংবদন্তিকে পেয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত সাবেক পেসার ও বর্তমান জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।

এই ক্যারিবীয় পেসারকে নিয়োগ দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত সুজন বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ইতিহাসের একটি অংশ বলা যেতে পারে ওয়ালশকে। তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি অনেক বেশি সমৃদ্ধ। তাঁকে নিয়োগ দিতে পারা আমাদের ক্রিকেটের জন্য দারুণ একটা ব্যাপার। তাঁর অধীনে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। বিশেষ করে পেস বোলাররা অনেক উপকৃত হবে।’

ওয়ালশ নিজেও রোমাঞ্চিত বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে, ‘আমি কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেট দেখছি। তারা সত্যিই খুব প্রতিভাবান খেলোয়াড়। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে খুব দারুণ কাজ করেছেন। বিশেষজ্ঞ বোলিং কোচ হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত।’

ওয়ালশের আগে বাংলাদেশ কোচ হিসেবে পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজকে। তাঁর তত্ত্বাবধানেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পেয়েছিল প্রথম সাফল্য। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জিতে অংশ নিয়েছিল ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে।

১৯৮৪ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ১৩২টি টেস্ট খেলে ওয়ালশ নিয়েছিলেন ৫১৯ উইকেট। সে সময় এটিই ছিল টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড।