খুলনা টেস্ট
হতাশায় আচ্ছন্ন সৌম্য সরকার

খুলনা টেস্টের প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন আত্মবিশ্বাসে টগবগ করতে থাকা মুমিনুল হক। বুধবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে আসলেন সৌম্য সরকার। টেস্ট অভিষেকের উত্তেজনা নয়, তখন তাঁর চেহারায় ভর করেছে রাজ্যের হতাশা। সেটাই স্বাভাবিক। সম্ভাবনা জাগিয়েও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য। বাংলাদেশেরও দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হতাশায় কেটেছে।
তৃতীয় ওয়ানডেতে দুর্দান্ত শতকের পুরস্কার হিসেবে প্রথম টেস্টের দলে জায়গা করে নেওয়া সৌম্যর শুরুটা ভালোই হয়েছিল। পাঁচটি চারে ৩৩ রান করে বড় কিছুর আশাও দেখাচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। কিন্তু মোহাম্মদ হাফিজের বল অযথা তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। সেজন্য ভীষণ হতাশ ২২ বছর বয়সী সৌম্য, ‘ড্রেসিং রুমে ফিরেই বুঝতে পারলাম বাজে শট খেলে আউট হয়েছি। ক্রিজে গিয়ে সব কিছু অনেক কঠিন মনে হচ্ছিল। প্রথম কয়েকটা বল খুব নার্ভাস লাগছিল। এরপর ধীরে-ধীরে সেটা কাটিয়ে উঠি। মুশফিক ভাই অনেক সাহায্য করেছেন।’
৪ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেছে ৩৩২ রানে। দিন শেষে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের রান ২২৭। ব্যাটিং-বোলিংয়ের মতো ফিল্ডিংও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। বাজে একটা দিন কাটানোর হতাশা লুকিয়ে রাখতে পারেননি সৌম্য, ‘আমাদের দিনটা খারাপ গেছে। ছয় উইকেট হাতে নিয়ে দিন শুরু করেও বেশি রান করতে পারিনি। বোলিং আশানুরূপ হয়নি। ফিল্ডিংয়েও আমরা বেশ কিছু সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি।’ পাকিস্তানের বোলারদেরও অবশ্য কৃতিত্ব দিলেন তিনি, ‘পাকিস্তানের বোলাররা ভালো বোলিং করেছেন। নিখুঁত লাইন-লেন্থে বল করেছেন।’
সৌম্য অবশ্য হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না। বলেছেন, ‘আমাদের ঠিক-ঠাক বোলিং ও ফিল্ডিং করতে হবে। তৃতীয় দিনে একটা সেশনে ভালো করতে পারলেই আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
পাকিস্তানের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে হাফিজের প্রশংসায় মেতে উঠলেন, ‘হাফিজ দারুণ খেলেছে। ইনশাল্লাহ সে ২০০ রান করতে পারবে। সে যেভাবে খেলছে তাতে মনে হয় ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে যাবে। তাহলে আমাদের দলও অনেক ভালো জায়গায় চলে যাবে।’
বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করলেও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন মুশতাক, ‘আমরা ঠিক করেছিলাম বাংলাদেশকে ৩৫০ রানের বেশি করতে দেব না। কাজটা ছেলেরা খুব ভালোভাবে করেছে।’ তৃতীয় দিনের পরিকল্পনা অবশ্য ফাঁস করতে রাজি হননি সাবেক এই লেগস্পিনার, ‘প্রথম আধা ঘণ্টা দেখব। তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী কৌশল ঠিক করব।’