শিষ্যদের কি চাপ সামলানো শেখালেন ওয়ালশ?
বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন এক মাসও হয়নি। কোর্টনি ওয়ালশ যে এরই মধ্যে অনেক কিছু বদলে দেবেন, এমন আশা হয়তো কেউই করেননি। তবে ওয়ালশের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের পেসারদের প্রথম পরীক্ষাটা কেমন হলো—সে প্রশ্ন জেগেছে অনেকের মনেই। আফগানিস্তানের তুলনামূলক অনভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের সামনে প্রায় নখদন্তহীন বলেই মনে হয়েছে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ। আবার সেই পেসাররাই চাপের মুখে দুর্দান্ত বোলিং করে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন দলকে। শিষ্যদের কি তাহলে চাপ সামলানোর তালিমটাই ভালোমতো দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার?
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ মাঠে নেমেছিল তিন পেসারের দল নিয়ে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে ছিলেন সদ্য বোলিং নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাওয়া তাসকিন আহমেদ ও ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা রুবেল হোসেন। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকার একটা প্রভাব হয়তো ছিল। কিন্তু আফগানিস্তানের মতো আইসিসির সহযোগী দলের বিপক্ষে তাসকিন-রুবেলদের নির্বিষ বোলিং কিছুটা হতাশই করেছে বাংলাদেশের সমর্থকদের। অধিনায়ক মাশরাফিকে সমীহ করে খেললেও তাসকিন-রুবেলের বল অনায়াসেই খেলতে পেরেছেন আফগান ব্যাটসম্যানরা।
প্রথম আট ওভার বোলিং করে রুবেল দিয়েছিলেন ৫৪ রান। তাসকিনের প্রথম ছয় ওভার থেকে আফগান ব্যাটসম্যানরা নিয়েছিলেন ৪৯ রান। দুজনেই ছিলেন উইকেটশূন্য। মাশরাফি সেই তুলনায় ছিলেন কিছুটা উজ্জ্বল। ১০ ওভার বোলিং করে ৪২ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন দুটি উইকেট। ৪৬ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল আফগানিস্তানের হাতে। শেষ চার ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৮ রান।
চাপের মুখে শেষ তিন ওভার বোলিংয়ের দায়িত্ব ছিল তাসকিন ও রুবেলের কাঁধে। আর এখানেই দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচটা জিতিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের দুই পেসার। শেষ দুই ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে তাসকিন নিয়েছেন চারটি উইকেট। রুবেলও নিজের নবম ওভারে পেয়েছেন উইকেটের দেখা। বাংলাদেশ পেয়েছে ৭ রানের জয়।
১৭ বছরের দীর্ঘ খেলোয়াড়ি জীবনে অনেক ম্যাচেই এমন চাপের মুখে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ওয়ালশ। দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। কোচের দায়িত্ব নিয়েও হয়তো শিষ্যদের মাঝে সেই অভিজ্ঞতাগুলো ছড়িয়ে দিয়েছেন এই উইন্ডিজ কিংবদন্তি।