মিরাজের আনন্দ-অভিষেক
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের দলে ছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটিং-বোলিং কোনোটাই করানো হয়নি তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজকে দিয়ে। ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা তাঁকে নিয়ে যেন কোনো পরিকল্পনা আঁটতে না পারেন, সে জন্য এই তরুণ ক্রিকেটারকে আড়ালে রেখেছিলেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে মিরাজকে তুরুপের তাস হিসেবে নামিয়ে দারুণ সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। এই তরুণ ক্রিকেটারের ঘূর্ণি জাদুতে রীতিমতো নাকাল ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।
দিনের দশম ওভারের শেষ বলে বেন ডাকেটের উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশ-শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মিরাজ। সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান এই ইংলিশ ওপেনারকে।
মিরাজের দ্বিতীয় শিকার গ্যালি ব্যালান্স। দলের ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাঁকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। আর জো রুটকে তৃতীয় শিকার বানিয়ে নিজের অভিষেকটা বেশ আনন্দময় করে তুলেছেন ১৯ বছরের এই তরুণ।
অথচ এখনো সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই অভিষেক হয়নি তাঁর। আজ সরাসরি টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হলো ১২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটারের।
তবে যুব দলের হয়ে তিনি নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন অনেক আগেই। গত বছর ঘরের মাঠে যুব বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন তিনি। ব্যাট ও বল হাতে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছেন তিনি।
ওই আসরে ব্যাট হাতে ছয় ম্যাচে তিনি করেন ২৪২ রান, যাতে চারটি অর্ধশতক রয়েছে। আর বল হাতে ছয় ম্যাচে তিনি নেন ১২ উইকেট।
তাই যুব বিশ্বকাপের পর থেকেই ধারণা করা হয়েছিল, জাতীয় দলে তিনি ডাক পাবেন যেকোনো সময়। শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলে তো ডাক পেলেনই, হলো আনন্দময় অভিষেকও।