‘শান্ত’ না থাকলে সেই গোল সেভ করা হতো না এমির

Looks like you've blocked notifications!
অবিশ্বাস্য এক সেভে হিরো বনে যান এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ছবি : রয়টার্স

ডিসেম্বর ১৮, ২০২২। বাংলাদেশে শীত, কাতারে গরম। ঠাণ্ডা গরম মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল রক্তহিম করা এক আবহ। একটি ম্যাচ হচ্ছিল, ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচের বয়স তখন ১২৩ মিনিট। খেলায় তিন তিনে সমতা। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সেকেন্ড কয়েক আগে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা দুনিয়া। ফ্রান্সের ফুটবলার কোলো মুয়ানির পায়ে বল। সামনে একা আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। মুয়ানি শট নিলেন, বাঁ পায়ে ঠেকিয়ে দিলেন এমি। রুদ্ধশ্বাস কয়েক সেকেন্ড আর অবিশ্বাস্য এক সেভ!

পরের গল্পটা সবার জানা। ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ৩-৩ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচ টাইব্রেকারে জিতে নেয় আর্জেন্টিনা। অবসান ঘটে ৩৬ বছরের অপেক্ষার। পুরো আসরজুড়ে দুর্দান্ত আর্জেন্টিনার সবটাই বৃথা যেত, যদি এমি তখন সেই গোলটি বাঁচাতে না পারতেন। তর্কসাপেক্ষে বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই সেরা সেভ ধরা হয় একে।

এমির কাছেও এটি শুধুই একটি গোল বাঁচানো নয়। তার জীবনের ‘সেরা সেভ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এটিকে। আর্জেন্টাইন একটি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমি বলেন, “আমি হয়তো আরও অনেক ভালো সেভ করতে পারব। এর আগেও করেছি। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে এটিই আমার জীবনের সেরা সেভ হয়ে থাকবে। আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে এটি।”

এমন সময়ে স্নায়ুর চাপ ধরে রাখা বেশ কঠিন। কিন্ত এমি পেরেছিলেন। এমন পরিস্থিতিতেও নিজেকে শান্ত রেখেছেন। ফুটবলবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোল ডটকমে মাস দুয়েক আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও এই গোলরক্ষক বলেছিলেন, “আমি শান্ত ছিলাম। খেয়াল করেছিলাম মুয়ানি আমার বাম পায়ের দিকে টার্গেট করছে। আমি চোখ বন্ধ করি, পা এগিয়ে দেই। গোলটা বেঁচে যায়। গোলরক্ষক হিসেবে এটি আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত।”

আর ওই এক মুহূর্তের প্রতীক্ষাতে আকাশী-নীল আর্জেন্টিনার কেটেছিল ৩৬ বছর। সেই সেইভটি না হলে অপেক্ষা যে আরও বেড়ে যেত।