আইপিএলের শিরোপা জিততে চেন্নাইয়ের সামনে কঠিন লক্ষ্য

Looks like you've blocked notifications!
চেন্নাইকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল গুজরাট। ছবি : আইপিএল

শেষ থেকে শুরু নয়, বরং শুরু থেকে শেষ। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হওয়া দুদল ফাইনালের শিরোপা মঞ্চেও এক অপরের প্রতিপক্ষ। মহারণের মহামঞ্চ প্রস্তুত ছিল গতকাল রোববার (২৮ মে) থেকেই। বৃষ্টি এসে একদিনের অপেক্ষা বাড়াল। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আইপিএলের ১৬ তম আসরের ফাইনালে আজ সোমবার (২৯ মে) মুখোমুখি হয়েছে গুজরাট টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে চেন্নাইকে ২১৫ রানের কঠিন লক্ষ্য দিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট।

টস জিতে এদিন গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করে গুজরাট।

নিজেদের মাঠে টস হেরে গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া মজার ছলেই বলছিলেন, আমরাও বোলিং নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার মন ব্যাটিং নিতে চাইছিল। অধিনায়কের মনের কথা শুনেছেন দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। ওপেনিং জুটিতে সাত ওভারে তোলেন ৬৭ রান। যথারীতি হাত খুলে খেলছিলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান গিল। সাত চারে ২০ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। বিপদ আরও বাড়ার আগে সপ্তম ওভারের শেষ বলে তাকে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা। উইকেটের পেছন থেকে গিলকে স্ট্যামড করেন ধোনি।

আইপিএলে নিজের আড়াইশতম ম্যাচের মাইলফলকেও দেখা গেল সেই পুরোনো ধোনির ঝলক।

প্রথম উইকেটে স্ট্যাম্পিং করা ধোনি পরের উইকেটে অবদান রাখলেন ক্যাচ নিয়ে। দীপক চাহারের বলে উইকেটের পিছে থাকা ধোনির হাতে ক্যাচ তুলে দেন গুজরাটের অপর ওপেনার ঋদ্ধিমান। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস।

ফিফটি করেন গুজরাটের ব্যাটার সা‌ই সুদর্শন। অর্ধশতকের পর যেন আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি। খেলতে থাকেন আউট অব দ্য বক্স সব শট। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি গিয়ে আটটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৪৭ বলে ৯৬ রান করে মাহিশ পাথিরানার বলে লেগ বিফোর হন সুদর্শন। চার রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরে গেলেও ততক্ষণে দলকে পার করান ২০০ রান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ১২ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক পান্ডিয়া।

চেন্নাইয়ের হয়ে দুই উইকেট পান থিকসানা। সমান একটি করে উইকেট পান চাহার ও জাদেজা।