সময়ই বলে দেবে আমরা দল হিসেবে কেমন : মুশফিক

Looks like you've blocked notifications!
নিজের ব্যাটিং উপভোগ করছেন মুশফিকুর রহিম। ছবি : মুশফিকুর রহিমের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন নিয়মিতই চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সবগুলো বিভাগেই খেলোয়াড়েরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন। নিজেরাই নিজেদের উপর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন। মুশফিকুর রহিম সাদরে গ্রহণ করেছেন ছয় নম্বরে ব্যাট করার নতুন চ্যালেঞ্জ। এনটিভির সঙ্গে নিজের ব্যাটিং পজিশন, বর্তমান বাংলাদেশ দল ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন মি. ডিপেন্ডেবল।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি বছর মার্চে বাংলাদেশের হোম সিরিজে রঙিন পোশাকে দুর্দান্ত কেটেছে মুশফিকের। নিজের চার নম্বর পজিশন ছেড়ে ছয় নম্বরে নামেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন মুশফিক। অবাক করা বিষয় হলো ৬০ বলে শতকটি নিয়ে খুব বেশি উচ্ছ্বসিত নন তিনি।

সেঞ্চুরি প্রসঙ্গে মুশফিক বলেন, ‘পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আপনারাও জানেন যে আয়ারল্যান্ডের বোলাররা অত বিশ্বমানের নয়। এমন সেঞ্চুরি যদি ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে করতে পারি, তাহলে আমি এরচেয়ে বেশি খুশি হব। এটাও খারাপ না। অন্ততপক্ষে আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে যে, আমি পারব। বিশ্বকাপে যদি এমন পরিস্থিতি আসে, ৭০/৭৫ বলে আমি সেঞ্চুরি করতে পারব।’

বিশ্বকাপের খুব বেশি দেরি নেই। ২০০৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সবগুলো বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জিতেছে তিনটি করে ম্যাচ। তিনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপ ভারতে। বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু দেখছেন মুশফিক, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই যেভাবে আমরা ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছি, আমার মনে হয় কয়েকটা টুর্নামেন্টে আমরা আনলাকি ছিলাম। সত্যি বললে ফেভারিট আমরা গত বিশ্বকাপেও ছিলাম। কাগজে-কলমে এবারও আমরা ফেভারিটের তালিকায় আছি। বিশ্বকাপে আমরা কেমন খেলব তা সময়ই বলে দেবে। আমার মনে হয় এবার আমাদের ভালো সুযোগ আছে বিশেষ কিছু করার।’

ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন মুশফিকুর রহিম। সামনে আফগানিস্তান সিরিজ। আছে এশিয়া কাপ। ছয় নম্বরে কতটা উপভোগ করছেন নিজের ব্যাটিং, সেই বিষয়ে বলেন, ‘দলের প্রয়োজনে আমি যেকোনো পজিশনেই খেলতে পারি। চারে যেমন উপভোগ করতাম, এখানেও করছি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আমি ৮/৯ তে-ও নেমেছি। আবার ওপেনিংয়ে নেমে ৯৮ রানের ইনিংস আছে।’

ক্রিকেটে ১৯ বছরের পথচলা মুশফিকের। এমন অভিজ্ঞতায় ভরা একজনের আত্মবিশ্বাসী থাকাটা দলের জন্য দারুণ ইতিবাচক।