ব্যারিস্টার সুমনের ফুটবল প্রীতি ম্যাচে উপচেপড়া ভিড়
দুপুর গড়াতেই স্টেডিয়ামের দিকে দলে দলে মানুষ ছুটছে। খেলা শুরুর আগেই কাণায় কাণায় পূর্ণ স্টেডিয়াম। খেলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসে শত শত দর্শক।
আজ শুক্রবার (৯ মে) নওগাঁ জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম অলিম্পিক ক্রীড়া সংসদের মধ্যে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
জমজমাট প্রীতি ফুটবল ম্যাচে আনন্দে মাতে দর্শক। অনেক দর্শক আশপাশের বহুতল ভবনের ছাদে বসেই খেলা উপভোগ করে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ফুটবল খেলা উপভোগ করতেই মানুষের এমন উৎসাহ দেখা গেছে।
খেলায় বিরতির আগে নওগাঁ ১ গোলে এগিয়ে থাকলেও বিরতির পর ব্যারিস্টার সুমন মাঠে নামার একটু পরই একটি গোল দিয়ে নিজের দলকে সমতায় আনেন। এ সময় আনন্দে মাতে দর্শকরা। এরপর কোনো দল আর গোল করতে না পারায় খেলাটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
বগুড়ার সান্তাহার থেকে আসা দর্শক ইউনুছ মণ্ডল জানান, খেলা দেখার জন্য ১৫ কিলোমিটার দূরে থেকে এসেছেন তিনি। অনেক দিন পর ফুটবল খেলা উপভোগ করতে পেরে খুব খুশি।
নওগাঁর রানীনগর থেকে আসা দর্শক আকরাম হোসেন বলেন, ‘এই খেলা আয়োজন করায় স্টেডিয়ামটি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আসলে এখানে তেমন খেলাধুলা হয় না। এত দর্শক কখনও দেখা যায়নি।’
আরেক দর্শক সাজু হোসেন বলেন, ‘ফুটবল-ক্রিকেট সব কিছুই আমার পছন্দের খেলা। আমি নিজেও ক্রিকেট খেলায় পারদর্শী। একজন আইনজীবী হয়েও সুমন ভাই দেশীয় ফুটবলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগে। নওগাঁয় তিনি আসছেন জেনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। তাই চলে এলাম।’
খেলা শেষে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘ফুটবলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। হয়তো ভালো খেলা আমরা দিতে পারি না, সে জন্য মানুষ মাঠে আসে না। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশের ফুটবল খেলাকে আবারও পুনর্জগরণ করতে হবে।’
সুমন আরও বলেন, ‘নওগাঁর আমের মতোই সুমিষ্ট এই জেলার মানুষদের ব্যবহার। এটা আগে জানলে আরও আগেই এ জেলায় এসে ঘুরে যেতাম। প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে খেলতে এসেও আমাদের খেলোয়াড়রা ক্লান্তি বোধ করছেন না। তবে জলিল ভাইয়ের নওগাঁর টিমকে হারানো কঠিন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল শারিয়ার রাসেলসহ ক্রীড়া সংস্থার অন্য নেতারা।