নির্ভার থেকে বাজিমাতের অপেক্ষায় ইন্টার মিলান

Looks like you've blocked notifications!
অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে ইন্টারের ফুটবলাররা। ছবি : ইন্টার মিলানের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

সম্ভব হলে ম্যাচ হওয়া ছাড়াই ম্যানচেস্টার সিটির হাতে শিরোপা তুলে দিত সবাই। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার (১০ জুন) দিনগত রাত ১টায়। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানসিটির প্রতিপক্ষ ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান। ইস্তাম্বুলের আতার্তুক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সিটিকেই ফেভারিট মানছেন বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে ফুটবলপ্রেমীরা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমের ফর্ম কথা বলছে সিটিজেনদের হয়ে।

তবে ইন্টারের সবচেয়ে বড় শক্তি বোধহয় আজ তাদের নির্ভারতা। ১৩ বছর পর ফাইনালে ওঠা দলটিকে শিরোপার দাবিদার ভাবছে না কেউ। নেরাজ্জুরিরা অনুপ্রেরণা নিতে পারে আজকের ফাইনালের ভেন্যু থেকেও। 

এ মাঠে ২০০৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ইতিহাস তৈরি করেছিল লিভারপুল। সেবার ফাইনালে ইন্টারের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানের বিপক্ষে প্রথমার্ধ্বে ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল। কে ভেবেছিল, দ্বিতীয়ার্ধ্বে ফিরে আসবে তারা! দ্বিতীয়ার্ধ্বে তিন গোল শোধ করে টাইব্রেকারে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিজেদের করে নেয় লিভারপুল। ফুটবল রূপকথারই অংশ হয়ে গেছে সেই ম্যাচ। 

এবার সেমি ফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়েই ফাইনালে এসেছে ইন্টার। এবার তাদের ভরসার আরেক জায়গা কোচ সিমোনে ইনজাগি। ইতালিতে তাকে ডাকা হয় ‘কাপের রাজা’ নামে। টানা সাত ফাইনালে অপরাজিত তিনি। ইনজাগি ফাইনালে ওঠা মানেই শিরোপা।

আন্ডারডগ হওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হারানোর কিছু থাকে না। যত চাপ ফেভারিট দলের ওপর। ঠিক এখানেই বাজিমাত করতে পারে ইন্টার। সঙ্গে তাদের দৃঢ় রক্ষণভাগ তো আছেই। 

ইতালিয়ানদের চিরাচরিত রক্ষণ নির্ভর ফুটবলে আস্থা রেখে এগিয়ে চলে সে দেশের ক্লাবগুলো। সে পথ অনুসরণ করে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২ ম্যাচের আটটিতেই ক্লিনশিট ইন্টারের।

ম্যাচে তাই পিছিয়ে থেকেও একটা জায়গায় এগিয়ে থাকবে ইন্টার মিলান। আন্ডারডগ হওয়াটা তাদের জন্য হতে পারে বড় সুযোগ।