চলে গেলেন দলবদলের বাজারে রেকর্ড গড়া প্রথম ব্রিটিশ ফুটবলার ট্রেভর
১৯৭৯ সালের দলবদলে হঠাৎ করেই চারিদিকে শোরগোল। এক মিলিয়ন পাউন্ডে ইংলিশ ক্লাব বার্মিংহাম থেকে নটিংহাম ফরেস্টে যোগ দেন ট্রেভর ফ্রান্সিস। সেই সময় এক মিলিয়ন পাউন্ড মানে আকাশসম। প্রথম ব্রিটিশ ফুটবলার হিসেবে দলবদলের বাজারে এক মিলিয়ন পাউন্ডের রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে নটিংহামে যোগ দেন তিনি।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা ফুটবলার আজ সোমবার (২৪ জুলাই) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তার পরিবারের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড ফুটবল ও নটিংহাম ফরেস্ট।
তাকে এত দাম দিয়ে দলে ভেড়ানোটা যে বৃথা যায়নি, সেটি তিনি বুঝিয়েছেন ক্লাবের হয়ে তৎকালীন ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতে। ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে টানা দুই মৌসুমে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ইউরোপিয়ান কাপ জয়ে। ১৯৭৯ সালের ফাইনালে সুইডিশ ক্লাব মালমোর বিপক্ষে জয়সূচক গোলটিও এসেছিল ফ্রান্সিসের পা থেকেই।
নটিংহামে দুর্দান্ত দুটো মৌসুম কাটিয়ে যোগ দেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। ১৯৮২ সালে সিটি থেকে পাড়ি জমান ইতালিতে। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত চার মৌসুম খেলেছেন ইতালির ক্লাব সাম্পদোরিয়ায়। সাম্পদোরিয়ার হয়ে জিতেছেন কোপা ইতালিয়ার শিরোপা।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জার্সিতে ৫২ ম্যাচে ১২ গোল করা এই ফরোয়ার্ড দেশের হয়ে খেলেছেন ১৯৮২ বিশ্বকাপেও।
খেলোয়াড়ি জীবনের উত্থান ঘটেছিল বার্মিংহাম সিটির হয়ে। ১৯৭০ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে বার্মিংহামের মূল দলে অভিষিক্ত হন ফ্রান্সিস। ১৯৭৯ পর্যন্ত দীর্ঘ নয় মৌসুম কাটান সেখানে। ২৮০ ম্যাচে ১১৮ গোল করে নিজেকে গড়ে তোলেন তখনকার সময়ের অন্যতম সেরা তারকা হিসেবে।
পরেরটুকু তো ইতিহাস। রেকর্ড এক মিলিয়ন পাউন্ডে যোগ দেন নটিংহামে। সেখানেও রেখে আসেন নিজের অনন্যতার ছাপ। ৭০ ম্যাচে ২৮ গোল করেছিলেন, জিতেছিলেন জোড়া ইউরোপিয়ান কাপ। হয়ে রয়েছেন ক্লাবটির কিংবদন্তি।
খেলোয়াড়ি জীবন ছাড়ার পর কোচিং ক্যারিয়ারে পদার্পণ করেন। দাঁড়িয়েছেন বার্মিংহাম সিটির ডাগআউটে। এ ছাড়া শেফিল্ড ওয়েডনেসডে ও ক্রিস্টাল প্যালেসের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ট্রেভর ফ্রান্সিস।