বিদায়ী ম্যাচে যে মাইন্ডগেমে ব্রডের বাজিমাত

Looks like you've blocked notifications!
স্টুয়ার্ড ব্রড। ছবি : এএফপি

লাল বলের সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছরের বন্ধুত্ব। স্বাভাবিকভাবে এই ফরম্যাটে ব্যাটারদের সব দুর্বলতা তিনি পড়তে পারেন। সেই সঙ্গে খেলেন মাইন্ডগেমও। বলছিলাম, সদ্য বিদায়ী তারকা স্টুয়ার্ড ব্রডের কথা। দ্য ওভালে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচেও মাইন্ডগেমের কৌশলে বাজিমাত করলেন এই ইংলিশ বোলার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তুকতাকে বিশ্বাসী ক্রিকেটারের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। ব্রডকে তাদের একজন ধরা যায়। যিনি, অ্যাশেজের শেষ ম্যাচেও প্রতিপক্ষের সঙ্গে চমৎকার মাইন্ডগেম খেললেন।

একটু খুলে বলা যাক। অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্টে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন মাত্র ৫৫ রান। তখন উইকেটে থিতু ছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি ও টড মার্ফির জুটি। ৩৫ রানের জমে যাওয়া এই জুটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে ইংলিশদের। অন্যদিকে এই জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন আঁকছিল অসিরা। পরিস্থিতি যখন এই তখন ব্রডের হাতে বল তুলে দেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। ওই ওভারের প্রথম ৫ বলে সাফল্য পাননি ব্রড। শেষ বলের আগে তিনি কৌশল করে স্টাম্পের  দুটি বেলের জায়গা অদলবদল করে দেন। এরপর পরের বলেই মাজিমাত। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে কটবিহাইন্ড করে বিদায় করেন মার্ফিকে। ওই জুটি ফিরলে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ বলে অ্যালেক্স ক্যারিকেও বিদায় করেন ব্রড। তাতে ওভালে ৪৯ রানের জয়ের গল্প লিখে ইংল্যান্ড। ঐতিহ্যবাহী অ্যাশেজ সিরিজ শেষ হয় ২-২ ব্যবধানের ড্রতে।

শুধু শেষ ইনিংসেও নয়। গত শুক্রবার অ্যাশেজের ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও একই মাইন্ডগেম খেলেন ব্রড। সেদিন স্টাম্পের দুটি বেলের জায়গা অদলবদল করে অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেনকে আউট করেছিলেন তিনি।

এমন মাইন্ডগেম নিয়ে সেদিন দিনের খেলা শেষে ব্রড বলেছেন, ‘আমি শুনেছিলাম এ রকম করলে নাকি ভাগ্য বদলে যায়। আগে নাথান লায়নকে এই কাজ করতে দেখেছিলাম। আসলে সকালের সেশনে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। তাই একটা উইকেট খুব দরকার ছিল। আমি ভেবেছিলাম, একবার বেল বদলে দেখাই যাক না হয়। খুব ভাল ভাবে সেটা কাজে লেগে গেল। পরের বলেই লাবুশেন খোঁচা দিল এবং রুট দারুণ একটা ক্যাচ নিল।’

সেই ঘটনার জন্য অসি ব্যাটার উসমান খাজার কাছ থেকে অবশ্য হুঁশিয়ারি বার্তা পান ব্রড। ইংলিশ তারকা জানান, লাবুশেনকে আউট করে তিনি যখন খাজার সামনে উচ্ছ্বাস করছিলেন তখন খাজা তাকে সাবধান করেন।

ব্রডের কথায়, ‘লাবুশেন আউট হওয়ার পর আমি গিয়ে উজির (খাজা) সঙ্গে উচ্ছ্বাস করতে শুরু করি। সে কিন্তু বিষয়টা মোটেও ভাল ভাবে নেয়নি। আমাকে বলল, যদি তুমি আমার সঙ্গে এমন কিছু করতে যাও, তা হলে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমি বেলের জায়গা আবার বদলে দেব।’