অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। ছবি : টি-স্পোর্টসের সৌজন্যে

সর্বশেষ পাঁচটি বিশ্বকাপেই অংশ নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা থাকলেও বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। সম্প্রতি ভালো ফুটবল খেলায় জামাল ভূঁইয়া-ফয়সাল আহমেদ ফাহিমদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এই আশা। র‌্যাঙ্কিংয়ের ২৭ নম্বর দল সকারুরা, বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৩। ম্যাচের ফলাফলেও পার্থক্য ফুটে উঠেছে স্পষ্টভাবে। 

মেলবোর্নের আমি পার্ক স্টেডিয়ামে পরিষ্কার ফেভারিট হয়েই মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) মাঠে নামে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার কাছে  ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।

প্রথমার্ধ্বে চার গোলে এগিয়ে থাকা সকারুরা দ্বিতীয়ার্ধ্বে দেয় আরও তিন গোল। দ্বিতীয়ার্ধ্বের শুরুতেই পঞ্চম গোলের দেখা পায় তারা। ৪৯ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ম্যাকলারেনের গোলে নিজেদের আরও এগিয়ে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ৭০ মিনিটে অসিদের ষষ্ঠ গোলটিও আসে ম্যাকলারেনের পা থেকে। ৮৪ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ম্যাকলারেন। সকারুরা পায় সাত গোলের লিড। প্রথমার্ধ্বের মতো দ্বিতীয়ার্ধ্বেও ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ।

ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় মিনিটে ফ্রি-কিক পায় তারা। লেফট উইং থেকে নেওয়া ক্রেইগ গুডউইনের কিক খুঁজে নেয় ডি-বক্সে থাকা হ্যারি সুট্যারকে। লাফিয়ে উঠে দারুণ হেডারে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন সুট্যার। গোল হজম করে বাংলাদেশ নিজেদের রক্ষণভাগ গুছিয়ে নেয় বাংলাদেশ। রক্ষণ সামলে ১৬তম মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম চেষ্টা করেছিলেন আক্রমণের। বাম প্রান্ত থেকে সকারু রক্ষণকে কাটিয়ে শট নিলেও গোলরক্ষক ম্যাথু রায়ান অনায়াসে লুফে নেন সেটি।

ম্যাচের ২০তম মিনিটে আরেকটি গোল হজম করে বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত দিয়ে একদম ডি-বক্স ঘেষে লুইস মিলারের দারুণ লবে গোল করেন কিয়ানু বাক্কাস। দুই গোল পেয়ে অস্ট্রেলিয়া আরও গতিময় ফুটবল শুরু করে। দুই প্রান্ত থেকেই সমানতালে আক্রমণ চালায় তারা। তাতে, দিশেহারা হয় বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। ৩৭ মিনিটে কনর মেটকাপের ক্রসে মিচেল ডিউকের হেড থেকে ম্যাচে তৃতীয় গোলের দেখা পায় সকারুরা।

তিন গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ আসলে খেই হারিয়ে ফেলে। অস্ট্রেলিয়ার হাই প্রেসিং ফুটবলের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে তারা। সেই সুযোগে ৪০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল ও দলের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন ডিউক। চার গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে নেয় সাত গোলের বিশাল ব্যবধানে।