স্যামুয়েলসকে ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞা দিল আইসিসি
দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মারলন স্যামুয়েলস। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল চারটি। সবগুলো অভিযোগই প্রমাণিত হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারকে ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) নিজেদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা।
আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষে ২০২১ সালে মারলন স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। দুর্নীতি-বিরোধী স্বতন্ত্র একটি বিচারক প্যানেল আজ এই রায় দেয়।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে ইসিবির চারটি ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগ আনে আইসিসি। এর ভিত্তিতে গত ১৬ আগস্ট অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কর্তৃপক্ষ। স্যামুয়েলসের সামনে সুযোগ ছিল নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার। কিন্তু, তাতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে, তার বিরুদ্ধে ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞার রায় দিয়েছে আইসিসির বিচারক প্যানেল।
স্যামুয়েলসের বিপক্ষে অভিযোগ মূলত ২০১৯ সালের আবুধাবি টি-টেন লিগের সময়কালের। সেই টুর্নামেন্টে স্যামুয়েলস কর্নাটক টাস্কার্সের স্কোয়াডে থাকলেও টুর্নামেন্টে খেলেননি। সবমিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ইসিবির আর্টিকেল ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ ভঙ্গ করার অভিযোগ ওঠে। বিচারকরা সবগুলোতে তার অপরাধ খুঁজে পান।
এবারই প্রথম নিয়ম ভাঙার শাস্তি পাননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০১২ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা স্যামুয়েলস। দুটো আসরেই ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। এর আগে ২০০৮ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া স্যামুয়েলস।