রাহুলের উপলব্ধি—সোশ্যাল মিডিয়া বড় ধরনের চাপ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে ভারত। প্রোটিয়া পেসারদের বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে ভারত অলআউট হয় মাত্র ২৪৫ রানে। একটুকুও করতে পারত না, যদি মিডল অর্ডারে নামা লোকেশ রাহুল সেঞ্চুরি না করতেন। তার ১৩৭ বলে ১০১ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে আড়াইশর কাছাকাছি পৌঁছায় ভারত। টেস্টে এরটি তার অষ্টম শতক।
অনেকদিন ধরেই ব্যাট হাতে ধারাবাহিক নন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। দলের প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে জ্বলে উঠলেও সেসবে মন ভরে না ভারতীয়দের। তাকে নিয়ে প্রত্যাশা হয়তো একটু বেশিই রেখেছিল ভক্তরা। হতাশ হয়ে তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু করে হাসিঠাট্টা। ট্রল আর মিম ম্যাটেরিয়ালে পরিণত হন রাহুল।
রাহুলকে নিয়ে ফেসবুকে ব্যঙ্গাত্মক একটি পেজও খোলা হয়েছে। যার নাম ’কেএল রাহুল অ্যাকাডেমি অব নাম বড়ে (বড়) দর্শন ছোটে (ছোট)।’ অর্থাৎ, নামেই আছেন তিনি, কাজে নেই। সেখানে নিয়মিত ট্রলের শিকার হন রাহুল। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শতকের পরেও তাকে নিয়ে ট্রল করে সেখানে লেখা হয়, ‘পরিশ্রম সফলতা আনে। চেয়ারম্যান সাব সেঞ্চুরি করেছেন। আমি জানি এটা হারাম ইনিংস কিন্তু এটি দলে জায়গা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
সোশ্যাল মিডিয়ার এমন নেতিবাচকতা প্রভাব ফেলেছে রাহুলের ব্যক্তি জীবনেও। সেঞ্চুরির পর তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটা বড় ধরণের চাপ। সেটি সবার জন্যই।
ইএসপিএনক্রিকইনফোতে গতকাল বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে রাহুল বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বড় ধরনের চাপ। আমি সেঞ্চুরি করেছি, এখন লোকে প্রশংসা করছে। কিন্তু, খারাপ খেললে লোকে প্রহসন করে। চার-পাঁচ মাস আগেও লোকে আমাকে নানা কথা বলত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এসব দেখতাম। খারাপ লাগে। তারকা হওয়ার আগে আমি একজন মানুষ। এমনটি কারও সঙ্গেই করা উচিত নয়।’