আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার কামিন্স, নারীদের মধ্যে সেরা সিভার
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স কিংবা দলীয় অর্জন—দুই দিকেই গেল বছরটা দারুণ কেটেছে প্যাট কামিন্সের। নিজে পারফর্ম করার পাশাপাশি দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। তাইতো, আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের মর্যাদা পেলেন কামিন্স। বর্ষসেরা হয়ে তিনি জিতলেন স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ২০২৩ সালের বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যেখানে প্যাট কামিন্সের পাশাপাশি বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার হয়েছেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার ন্যাট সিভার-ব্রান্ট।
সেরা হতে নিজের স্বদেশি সতীর্থ ট্রাভিস হেড, ভারতের ব্যাটিং গ্রেট ভিরাট কোহলি ও স্পিনিং অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাকে হারিয়েছেন কামিন্স। অন্যদিকে সিভার হারিয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনার ও বেথ মুনিকে। নারী ক্রিকেটের সেরা হয়ে সিভার জিতেছেন ‘র্যাচেল ফ্লিন্ট’ ট্রফি। প্যাট কামিন্স প্রথমবার সেরা হলেও ইংলিশ তারকা সিভার এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার জিতলেন।
২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৪ ম্যাচে ৫৯ উইকেট নেন কামিন্স। যেখানে টেস্টে ১১ ম্যাচে নেন ৪২টি উইকেট। ওয়ানডেতে ১৩ ম্যাচে নেন ১৭ উইকেট। ব্যাট হাতে টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে করেন ৪২২ রান। গেল বছর টি-টোয়েন্টি খেলেননি তিনি।
ব্যক্তিগত পারফর্মের চেয়েও বেশি উজ্জ্বল ছিলেন অধিনায়কত্বে। তার অধীনে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা জিতে অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া তার অধীনেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া অ্যাশেজেও কামিন্সের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার জয়জয়কার ছিল। সবমিলে ঝলমলে ছিলেন কামিন্স।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০২৩ সালে ১৮ ম্যাচ খেলে ৮৯৪ রান করেন সিভার। পেস বোলিংয়ে নেন ৯ উইকেট। বছর জুড়ে তিনিও ছিলেন ঝলমলে। তাইতো কামিন্সের সঙ্গে তিনি হলেন সেরা ক্রিকেটার।