গত আসরে নাম লিখিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার অধীনে নিজেদের প্রথম আসরেই নিশ্চিত করে ফাইনাল। রানার্সআপ হয়ে শেষ করে টুর্নামেন্ট। সেই দলটিই এবার দেখল মুদ্রার উল্টো পিঠ। ফাইনাল তো দূরে, এবার প্লে-অফের দুয়ারেও যেতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স।

এবারও দলটির নেতৃত্ব দেওয়া হয় মাশরাফীকে। কিন্তু শুরু থেকে একের পর এক ব্যর্থতার পর রাজনীতির ব্যর্থতা দেখিয়ে বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এরপর নেতৃত্ব দেন মোহাম্মদ মিঠুন। তিনি অবশ্য ব্যর্থ হয়নি। তার অধীনেই জয়ের মুখ দেখে সিলেট। তার নেতৃত্বে পরের সাত ম্যাচের মধ্য পাঁচটিতে জয় দেখে সিলেট। ফলে, পরিসংখ্যান দেখলে মিঠুনকে নিয়ে প্রশংসা করারই কথা।

গতকাল শুক্রবার নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছে সিলেট। সেই ম্যাচটিও রাঙিয়েছে জয়ে। জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে মিঠুন বলেন, 'আমার জন্য খুব একটা কঠিন মনে হয়নি (অধিনায়কত্ব)। এর আগেও আমি বেশকিছু টুর্নামেন্টে অধিনায়ক করেছি। নতুন কিছু মনে হয়নি। আমি চেষ্টা করেছি প্রত্যেক খেলোয়াড়কে একসাথে রাখতে। তাদের সুবিধাজনক পরিবেশ দিতে চেষ্টা করেছি। এই সাধারণ বিষয়গুলোই। মাঠ পরিচালনা কোন ম্যাজিক সাইন্স নয়। শুধু প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে এবং সঠিক সময় সঠিক কাজ করলে আমার মনে হয় কাজটা সহজ হয়ে যায়।'

এ ছাড়া মিঠুন জানান, শেষের ম্যাচগুলোতে মাশরাফী সঙ্গে না থাকলেও রীতিমতো দলের খোঁজ নিয়েছেন। মিঠুনের ভাষায়, 'আসলে মাশরাফি ভাইকে আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই চিনি। উনি খুব ভালো মোটিভেটর। উনি ড্রেসিংরুমে থাকলে আলাদা একটা মজা থাকে। সবার সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি মিশতে পারে, ক্লোজ হয়ে যেতে পারে। এটা অন্য সবার থেকে তার আলাদা একটা গুণ। দলে যখন ছিলেন না তখনও ঠিকই আমাদের সাথে দেখা করেছেন, হোটেলে এসেছেন। উনি সবসময় আমাদের মধ্যেই ছিলেন। এমন না যে, মাঠে নেই বলে একদমই নেই। আমরা সবাই জানি টিমের সাথে মাশরাফি ভাই কীভাবে জড়িত, প্রত্যেকটা জিনিসেই উনার ফিডব্যাক থাকত।'