ফাইনালে যেতে তামিমের বরিশালের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য

Looks like you've blocked notifications!
রংপুর বনাম বরিশাল ম্যাচ। ছবি : বিসিবি

রংপুর-বরিশাল মুখোমুখি হওয়া মানেই সাকিব বনাম তামিম লড়াই। ভক্ত সমর্থকরাও মুখিয়ে ছিলেন দেশের এই দুই তারকার দ্বৈরথ দেখতে। তবে, ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে  শামীম পাটোয়ারি বাদে ব্যাট হাতে সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারেননি রংপুরের অন্য ব্যাটাররা। দলীয় ৭৬ রানে ছয় উইকেট হারালেও শেষদিকে শামীমের ব্যাটে ভর করে তামিমের দলকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল রংপুর।

আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর-শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৪৯ রান তোলে রংপুর। ব্যাট হাতে ২৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন শামীম পাটোয়ারি।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি রংপুরের। দলীয় আট রানের মাথায় শেখ মেহেদীর বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মেহেদী। পাঁচ বল খেলেও দুই রানের বেশি করতে পারেননি এই ব্যাটার।

শুরুতে উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি রংপুর। দলীয় ১০ রানের মাথায় ফেরেন অন্যতম বড় তারকা সাকিব আল হাসান। এবারও ত্রাতার ভূমিকায় সেই সাইফউদ্দিন। চার বলে এক রান করে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর চাপ সামাল দেওয়ার আগে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। দলীয় ১৮ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। ১২ বলে আট রান আসে তার ব্যাট থেকে।

মাত্র ১৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায় রংপুরের। তবে, নিকোলাস পুরাণ ও জেসি নিশামের ব্যাটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা বড় সংগ্রহের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। দলীয় ৪৮ রানের মাথায় ফেরেন পুরাণ। ১২ বলে মাত্র তিন রান আসে তার ব্যাট থেকে।

তবে, রংপুর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় নিশামের বিদায়ে। দলীয় ৪৮ রানের মাথায় ফুলারের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই কিউই ব্যাটার। গত ম্যাচে কুমিল্লার সঙ্গে জিততে না পারলেও এই ব্যাটার ৯৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। নিশামের বিদায়ের পর শামীম পাটোয়ারি ও আবু হায়দার রনির ব্যাটে এগিয়ে যায় রংপুর। ২০ বলে ফিফটি করে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন শামীম।