দিল্লিকে উড়িয়ে কলকাতার তিনে তিন

Looks like you've blocked notifications!
কলকাতা বনাম দিল্লি ম্যাচ। ছবি : বিসিসিআই

আইপিএল মানেই হলো চার-ছক্কার মারকাটারি ক্রিকেট। ব্যাটিংবান্ধব পিচ আর ছোট সীমানার সুযোগ নিয়ে ব্যাটাররা হয়ে ওঠেন অনেক বেশি আগ্রাসী। আর অসহায় হয়ে থাকেন বোলাররা। ফের একবার তেমনটাই দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা। পান্ত-স্টাবসরা লড়লেও টপকাতে পারেননি কলকাতার রানপাহাড়। টানা তিন ম্যাচে জয় পেল আইপিএলের দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।

গতকাল বুধবার (৩ এপ্রিল) বিশাখাপত্তমে নারিন-রাসেলদের ব্যাটে সাত উইকেট হারিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭২ রান তোলে কলকাতা। জবাবে ১৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৬ রানে তোলে দিল্লি। ১০৬ রানের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান স্থান নিজেদের করে নিয়েছে কলকাতা।

২৭৩ রানের অবিশ্বাস্য লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় দিল্লি। দলীয় ২১ রানের মাথায় পৃথ্বী শ এর বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ৭ বলে ১০ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর অসি ব্যাটার মিচেল মার্শও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ২৬ রানের মাথায় তার বিদায়ে ফের ধাক্কা খায় দলটি। রানের খাতাই খুলতে পারেননি মার্শ।

মার্শের বিদায়ের পর পোরেল ও ওয়ার্নারও ফেরেন দ্রুত। ১৩ বলে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি ওয়ার্নার। পরবর্তীতে রিশাভ পান্ত ও স্টাবস মিলে দারুণ এক জুটি গড়ে চাপ সামাল দেন। তবে, পান্তের বিদায়ে এই জুটি বড় হয়নি। দলীয় ১২৬ রানের মাথায় ২৫ বলে ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন অধিনায়ক পান্ত। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানে থামে দিল্লি।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনিল নারিনের ব্যাটে দারুণ শুরু করে কলকাতা। দুজন মিলে ওপেনিংয়ে গড়েন ৬০ রানের জুটি। ১২ বলে ১৮ করে ফেরেন সল্ট। তার বিদায়ের পর রাঘুবানশিকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন নারিন। দলীয় ১৬৪ রানে নারিন বিদায় নিলেও বড় স্কোরের ভিত পেয়ে যায় দলটি। ৩৯ বলে ৮৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নারিন। এরপর রাসেল, আইয়ার ও রিঙ্কুদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সাত উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান তোলে কলকাতা, যা আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।