রাত পোহালেই শুরু টি-টোয়েন্টির মহারণ
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই যেন চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে দর্শকদের বিনোদনের চাহিদা পূরণ। আধুনিক ক্রিকেটে অন্য দুই সংস্করণের চেয়ে টি-টোয়েন্টিই এখন দর্শকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। তাই ক্রিকেটের মারকাটারি এ সংস্করণের বিশ্বকাপ এলেই দেশে দেশে বেজে ওঠে দামামা; দেখা মেলে নানা আয়োজন, উৎসাহ ও উদ্দীপনার।
বিশ্বকাপ আয়োজনের অভিজ্ঞতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ফুটবল বিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিকের মতো মেগা আসর আয়োজন করেছে দেশটি। সেই হিসেবে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন মার্কিনিদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। নতুন এই স্বাদ নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। কানাডার বিপক্ষে স্বাগতিকদের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের।
ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপি আরো বেশি ছড়িয়ে দেওয়ার যে মিশন আইসিসির তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে। সে সাথে বাড়ানো হয়েছে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যাও। যদিও ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ছোট দলগুলো বেশ ভাল খেলছে। যার প্রমাণ তারা রাখছে প্রতিনিয়তই।
যুক্তরাষ্ট্রের শহর ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ১ জুন স্বাগতিক দেশ ও কানাডার ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে সংক্ষিপ্ত ভার্সনের এই ক্রিকেট মহারণ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সময়ের ব্যবধানের কারণে বাংলাদেশ সময় রোববার (২ জুন) সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হবে নবম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে টেক্সাস থেকে ৩ হাজার ২০০ মাইলেরও বেশি দূরের শহর ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায়। যেখানে স্থানীয় রোববার সময় সকাল সাড়ে ১০টায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যা বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর ক্যারিবীয়ানদের মাটিতে হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
এবারের বিশ্বকাপে টেস্ট খেলুড়ে ১১টি দেশের সাথে সহযোগি সদস্য ৯টি দেশও অংশগ্রহন করেছে। সবমিলিয়ে ২০টি দলকে চার গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ পর্বসহ এবার বিশ্বকাপে সর্বমোট ৫৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে গ্রুপপর্বে হবে ৪০টি ম্যাচ, সুপার এইট পর্বে ১২টি ম্যাচ; এ ছাড়াও দুটি সেমিফাইনাল ও একটি ফাইনাল ম্যাচ রয়েছে।
আগামী ২৯ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত হবে এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। এবার কি নতুন কোনো দেশে যাবে বিশ্বকাপ, নাকি পুরোনোদের কেউই পাবে ট্রফির স্বাদ? বার্বাডোজে ফাইনাল শেষে জানা যাবে এই প্রশ্নের উত্তর।