সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার তালিকায় আছেন যারা
শেষ হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। ২০০৭ সালের প্রথম শিরোপা জয়ের দীর্ঘ ১৭ বছর পর আবারও ফিরে পেল টি-টোয়েন্টির শ্রেষ্ঠত্ব।
বিশ্বকাপের নবম আসরটি ব্যাটারদের জন্য তুলনামূলক কঠিন ছিল। সেই হিসেবে যথেষ্ট সুবিধা পেয়েছেন বোলাররা। নিজেদের প্রমাণও করেছেন তারা। দেখা নেওয়া যাক সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে উইকেট শিকারে এগিয়ে কারা...
ফজলহক ফারুকী
মনে রাখার মতো একটি বিশ্বকাপ কাটিয়েছে আফগানিস্তান। প্রথম খেলেছে সেমি ফাইনাল। এই যাত্রাপথে বল হাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন পেসার ফজলহক ফারুকী। আট ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে ম্যাচে আছে চার ও পাঁচ উইকেট। পাশাপাশি বোলিংয়ে তিনি ছিলেন বেশ মিতব্যয়ী। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মোটে ৬.৩১ করে।
আর্শদিপ সিং
ভারতীয় এই পেসার আলো ছড়িয়েছেন বিশ্বকাপে। জসপ্রীত বুমরাহর সঙ্গে মিলে গড়েছেন শক্তিশালী পেস আক্রমণ। ৮ ম্যাচে তার শিকার সমান ১৭ টি উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৯ রানে চার উইকেট। রান বেশি দেওয়ায় ফারুকির চেয়ে পিছিয়ে টুর্নামেন্টে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনিও।
জাসপ্রিত বুমরাহ
বিশ্বকাপের পুরো আসর জুড়ে দুর্দান্ত ছিলেন বুমরাহ। গত কয়েক বছরে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ভারতীয় এই পেসার যে কোনো পরিস্থিতিতেই মানিয়ে নিতে পারেন। টি-টোয়েন্টির ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের সময়ে এসেও বিশ্বকাপে তার ইকোনমি পাঁচের নিচে। ফাইনাল ম্যাচেও ভারতের জয়ে ছাপ রেখেছেন তিনি। ভারতীয় এই তারকা ১৫ উইকেট নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন।
আনরিখ নরকিয়া
পরের নামটা দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারের। ভারতের কাছে হেরে আজ আবারও মন ভেঙেছে প্রোটিয়াদের। তবে টুর্নামেন্টের ১৫টি উইকেট নিয়ে নরকিয়া কম অবদান রাখেননি। তার নামটা আছে চতুর্থ স্থানে।
রশিদ খান
অধিনায়ককে নেতৃত্ব দিতে হয় সামনে থেকে। আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান সেটিই করেছেন। বর্তমান ক্রিকেটের সেরা লেগ স্পিনার বিশ্বকাপেও ছিলেন আপন আলোয় উজ্জ্বল। আট ম্যাচে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। ১৭ রানে চার উইকেট তার সেরা বোলিং ফিগার। রান খরচায় তিনি স্বদেশি ফারুকীর চেয়ে বেশি মিতব্যয়ী। রশিদের প্রতি ওভার থেকে ব্যাটাররা রান নিয়েছেন গড়ে মাত্র ৬.১৭।
রিশাদ হোসেন
তালিকার ওপরের দিকে থাকা একমাত্র বাংলাদেশি রিশাদ হোসেন। বহুদিন ধরে দেশের ক্রিকেটে একজন লেগ স্পিনারের অভাব ছিল। কতটা মেটাতে পারবেন রিশাদ, সেটি সময় বলবে। তবে, এখন পর্যন্ত নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে নিয়েছেন রশিদের সমান ১৪ উইকেট। ইকোনমি বাকিদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি, ৭.৭৬। যদিও, টি-টোয়েন্টির হিসেবে এটি যথেষ্ট ভালো।