সূর্য-স্যামসন তাণ্ডবে ভারতের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
হায়দরাবাদের ব্যাটিং উইকেটে পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স মেলে ধরে ভারতকে হারানোর আশায় মাঠে নেমেছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। সেই আশায় গুড়েবালি! মুস্তাফিজ-রিশাদদের তুলোধুনো করে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে রীতিম রানবন্যা বইয়ে দিল ভারত। দুই ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব ও সানজু স্যামসনের ব্যাটিং তাণ্ডবে রেকর্ড সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে গৌতম গম্ভীরের শিষ্যরা।
আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব ও সানজু স্যামসনের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৯৭ রান তোলে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১১ রান করেন সানজু স্যামসন।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও সানজু স্যামসন। তবে, অভিষেক বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। তার বলে অভিষেক শর্মা পুল শট খেলতে গিয়ে মিডউইকেটে শেখ মেহেদীর হাতে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪ বলে ১ চারে ৪ রান করেন তিনি। এরপর পাল্টে যায় ম্যাচের দৃশ্যাপট। বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করে ব্যাটিং তাণ্ডব চালায় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ও সানজু স্যামসন। দুইজন মিলে গড়েন ৭০ বলে ১৭৩ রানের জুটি।
মাঝে মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন স্যামসন। ভারতের হয়ে এর চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি আছে শুধু রোহিত শার্মার, ৩৫ বলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ৩৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করার পথে ৯ চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা মেরেছেন স্যামসন। অবশ্য সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টেকেননি তিনি। দলীয় ১৯৬ রানের মাথায় মুস্তাফিজের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে শেখ মেহেদীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৪৭ বলে ১১১ রান।
তার বিদায়ের পর আরেক ব্যাটার যাদবও ফেরেন দ্রুত। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই বড় সাফল্য পান মাহমুদউল্লাহ। তার বল ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ডিপ মিড উইকেটে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন যাদব। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৭৫ রান। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া-রিয়ান পরাগদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রেকর্ড সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত। এটি টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আর বিশ্বরেকর্ডটি আছে নেপালের দখলে। ২০২৩ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩১৪ রান করেছিল নেপাল।