সাকিবের না ফেরা- স্বস্তি না শাস্তি?
সাকিব আল হাসানের বিদায়ী টেস্ট। কথা ছিল, চারদিকে থাকবে সাজ সাজ রব। আনন্দের মাঝে হঠাৎ করে হবে মন খারাপ। সাকিব সত্যিই থেমে যাচ্ছেন! তাকে আর দেখা যাবে না মাঠে। ক্ষনিকের দুঃখ ভুলে আবার চলবে বন্দনা।
কিন্তু, দৃশ্যপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। এতটাই যে, বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেশেই আসতে পারলেন না সাকিব। মিরপুরে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ মিছিল, সাকিবকে বয়কট করার পেছনের গল্প কারও অজানা নয়। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) গোটা দিন সাকিবকে ঘিরে ছিল অনিশ্চয়তা আর উৎকণ্ঠা। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশে আসছেন না সাকিব।
ঠিক এখানেই প্রশ্ন এসে যায়। সাকিবের দেশে না ফেরা কি ক্রিকেটের জন্য স্বস্তি না শাস্তি। শাস্তি অবশ্য সাকিবের। নীরব থাকার শাস্তি। জুলাই অভ্যুত্থানে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কোনো ভূমিকা না রাখার শাস্তি পেয়েছেন সাকিব। দেশের ক্রিকেটের সর্বকালের সবচেয়ে বড় তারকা থেকে খলনায়কে পরিণত হলেন। নিজ দেশে খেলতে পারলেন না শেষ টেস্ট। যার জন্য অনুরোধও করেছিলেন দেশবাসীর কাছে।
সাকিবের জন্য অলিখিত শাস্তি হলেও, দেশের ক্রিকেটের জন্য তা স্বস্তি। অন্তত, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুনামের কথা বিবেচনা করলেও সাকিবের না আসা ক্রিকেটকে যেন বাঁচিয়েছে। কারণ চলমান পরিস্থিতি এতটাই ঘোলাটে ছিল, সাকিব দেশে এলে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার জো ছিল না। তাতে, নিরাপত্তা ঘাটতি দেখা দিত। তৈরি হতো বিশৃঙ্খল পরিবেশ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যা দেশের ক্রিকেটের জন্য নেতিবাচক হতো। এমনিতেই নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ থেকে সরে গেছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। বিশ্ব ক্রিকেটের গলি-ঘুপচিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে পরিচিত করেছেন সাকিবই। তবে, নিজ দোষেই হারালেন অবস্থান।