ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে নেই সাকিব, জানা গেল কারণ
সাধারণত প্রতি সপ্তাহের বুধবার ছেলেদের ক্রিকেটের হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আইসিসি। এরই ধারাবাহিকতায় এই সপ্তাহের হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অনেকটা বিস্ময় জাগিয়ে সেই র্যাঙ্কিংয়ে নেই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম। এবার জানা গেল র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের না থাকার কারণ।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার টানা ১২ মাস ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে না খেললে র্যাঙ্কিং থেকে তিনি বাদ পড়েন। আর টেস্টের ক্ষেত্রে টানা ১৫ মাস খেলার বাইরে থাকলে নাম কাটা পড়ে র্যাঙ্কিং থেকে। সাকিব সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন এক বছরের বেশি সময় আগে, ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ দুটি ওয়ানডে সিরিজ খেললেও সাকিব কোনটিতেই খেলেননি। জাতীয় দলের জার্সিতে একটি ওয়ানডে খেললেও অবশ্য তিনি আবার র্যাঙ্কিংয়ে ঢুকে পড়বেন। কিন্তু জাতীয় দলে ফের সাকিবকে আদৌ দেখা যাবে কিনা, তা নিয়েই সন্দেহ বাড়ছে দিনে দিনে। অধিকাংশের মত, জাতীয় দলের হয়ে সাকিব শেষ ম্যাচটা ভারতের বিপক্ষে কানপুরেই খেলে ফেলেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্ট সিরিজে খেলে এই সংস্করণ থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা হয়নি তার। এরপর শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ ওয়ানডেও সিরিজে খেলেননি তিনি।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাকিব আইসিসির টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার-২০০৯ এবং একই বছর ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার এর জন্য মনোনয়ন পান। দ্য উইজডেন ক্রিকেটার্স সাকিবকে বছরের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত করে। ওই ২০০৯ সালে আইসিসির ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে উঠে আসেন সাকিব। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে এই তালিকার শীর্ষে থাকার রেকর্ডও গড়েন এই অলরাউন্ডার।