আউট হলেন কার্টি, ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ
৮৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে, সেই চাপ দারুণভাবে সামাল দেন দুই ব্যাটার জাঙ্গু ও কার্টি। দুইজনে মিলে গড়েন ১৩২ রানের জুটি। এই জুটিতে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখছে স্বাগতিকরা। লম্বা সময় ধরে উইকেটের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ অবশেষে কার্টিকে সাজঘরে পাঠিয়ে লড়াইয়ে ফিরল। ৮৮ বলে ৯৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
রাদারফোর্ডকে ফেরালেন তাসকিন
তৃতীয় ওয়ানডেতেও ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন রাদারফোর্ড। এক ম্যাচ বাকি রেখে ক্যারিবীয়দের সিরিজ জেতাতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন তিনি। সেই রাদারফোর্ড আজও উইকেটে থিতু হয়ে বড় কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই তাকে ফেরালেন তাসকিন আহমেদ। সবমিলিয়ে ৮৬ রানের মধ্যে চতুর্থ উইকেট হারাল স্বাগতিকরা। আউটের আগে ৩৩ বলে ৩০ রান করেন এই ব্যাটার।
ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ক্যারিবীয়রা
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি ক্যারিবীয়দের। তবে, কার্টি ও রাদারফোর্ড জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ ওভার শেষে ৭৫ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ও নাসুম আহমেদ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
বৃষ্টি শেষে শুরু বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাগড়া দিল বৃষ্টি। অল্প সময়ের জন্য খেলা বন্ধ থাকায় কাটা হয়নি কোনো ওভার। প্রায় ১৫ মিনিট পর আবারও শুরু হলো খেলা। বৃষ্টির আগে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান তুলেছিল ক্যারিবীয়রা।
বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ
৩২২ রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দলীয় ৩১ রানের মধ্যে তিন ব্যাটারকে হারিয়েছে দলটি। দলীয় ৪৯ রানের সময় বৃষ্টির হানায় বন্ধ হয়ে যায় খেলা। অষ্টম ওভার করতে এসেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম চার বলে তিনি দেন ৪ রান। এরপর হঠাৎ বৃষ্টি নামলে খেলোয়াড়দের মাঠ ছাড়তে বলেন মাঠের দুই আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ও লেসলি রেইফার। যদিও অ্যাকুওয়েদার –এর তথ্য অনুযায়ী, ম্যাচের ভেন্যু সেন্ট কিটসের বাসেটেরেতে আজ বৃষ্টি নামার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের প্রয়োজন আরও ২৭৩ রান। একটি করে উইকেট নেন হাসান-নাসুম। কার্টি ৯ ও রাদারফোর্ড ১০ রানে অপরাজিত আছেন।
শুরুতেই চাপে ক্যারিবীয়রা
বড় সংগ্রহ তাড়ায় নেমে ব্যাট হাতে ব্র্যান্ডন কিং জ্বলে উঠেছিলেন। নাসুম আহমেদকে দ্বিতীয় ওভারে দুটি চার ও একটি ছয় মেরে ১৪ রান তোলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার। কিন্তু শেষ বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারাল ক্যারিবিয়ানরা। ১০ বলে ১৫ রান করেন কিং। এরপর দ্বিতীয় উইকেট যেতেও সময় লাগেনি। দলীয় ২৮ রানের মাথায় নাসুমের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন আলিসক আথানাজে। তার ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। এরপর দলীয় ৩১ রানের মাথায় শাই হোপের বিদায়ে তৃতীয় সাফল্য পায় সফরকারীরা। ৬ বলে ৩ রান করে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
চার হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ৩২১ রান
সৌম্য সরকার এবং মেহেদী হাসান মিরাজ শুরুতে গড়েন ১৩৬ রানের জুটি। অসাধারণ এক জুটি গড়ে বাংলাদেশকে বড় স্কোরের পথেই নিয়ে যান তারা। এরপর তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং জাকের আলী অনিক। চারটি বড় ফিফটির ওপর ভর করে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩২২ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। প্রথম দুই ম্যাচ হারের কারণে সিরিজের এই শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে।