এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফেকে দেওয়ায় অসন্তুষ্ট চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংগঠকরা
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন, চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামটিকে ফুটবলের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) এটি ১০ বছরের জন্য দেওয়া হবে। বাফুফে অবশ্য আরও বেশি সময়ের জন্য এটি চেয়েছে। তাদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ২৫ বছরের জন্য স্টেডিয়ামটি দেশের ফুটবলের জন্য দিয়েছে। এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের এক কর্মকর্তা।
স্টেডিয়ামের দেখভালের খরচ, আয়ের অংশ ও বাফুফেকে দেওয়া এনএসসির কিছু শর্ত আছে। সেসব খুব দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফের সেই কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম মূলত ক্রিকেটের জন্য পরিচিত ছিল। নানা অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিতে খেলার মতো অবস্থা হারিয়ে ফেলে এটি। চট্টগ্রামে ক্রিকেটের ম্যাচগুলো জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এম এ আজিজ খালি পড়ে আছে। সংস্কার করে তাই ফুটবলের জন্য এটিকে ব্যবহার করা হবে আগামী ২৫ বছরের জন্য।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংগঠকরা। চট্টগ্রামে দুটি স্টেডিয়ামের মধ্যে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে। এবার এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফের জন্য নির্ধারিত হয়ে যাওয়ায় তারা সন্তুষ্ট নয়।
এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ফুটবলকে বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা। এই স্টেডিয়ামকে ঘিরে প্রতিবছর ৩২টির বেশি খেলার আসর হয়। ফুটবলের জন্য যদি এটি নির্দিষ্ট করা হয় তাহলে অন্য ইভেন্ট গুলোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহসভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এম এ আজিজ স্টেডিয়াম একটি মাল্টিপারপাস স্টেডিয়াম। সব ইভেন্টের জন্য এ স্টেডিয়াম উপযোগী। সব ইভেন্টের খেলা এখানে হয়। স্থানীয় সংগঠকরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে অর্থ সংগ্রহ করে এখানে খেলাধুলা সচল রেখেছে। চট্টগ্রামে এমনিতেই মাঠ সংকট। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের (বিসিবির অধীনে) মতো এটিও যদি বাফুফে নিয়ে যায় তা দুঃখজনক ছাড়া আর কিছুই নয়। নতুন এই সিদ্ধান্তের বরাদ্দপত্র হাতে পেলে আমরা তখন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে পারব।’
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা সাবেক নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম জানান, ফুটবলের জন্য নতুন স্টেডিয়াম না করে একটি বহুমাত্রিক স্টেডিয়ামকে ফুটবলের জন্য নির্ধারিত করে লিজ নেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। এই স্টেডিয়ামে সব ইভেন্টের খেলা গুলো নিয়মিত হয়।