বাফুফের ট্রায়ালে নজর কাড়লেন যারা

অনেক আশা-প্রত্যাশা আর আকাশ সমান স্বপ্ন নিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ট্রায়াল। তিন দিনে সেখানে যোগ হয়েছিল বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৪৯ ফুটবলারের লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপানোর তীব্র আকাঙ্খা। গতকাল সোমবার (৩০ জুন) শেষ হয়েছে তিন দিনের ‘নেক্সট গ্লোবাল স্টার’ ট্রায়াল। যেখানে নিজেকে প্রমাণের পরীক্ষায় মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা।
আধুনিক ফুটবলের ছোঁয়ায় বেড়ে ওঠা এই ফুটবলারদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন। গতি, স্কিল, খেলার ধরন, শারীরিক গঠন—সবমিলিয়ে নিজেকে প্রমাণের মঞ্চে প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন বেশ ভালোভাবে। ঠিকভাব সুযোগ আর পরিচর্যা পেলে যারা হতে পারেন আগামী দিনের তারকা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা গোল করা। জাতীয় দল থেকে বয়সভিত্তিক দল, সবখানে একই সমস্যা বিদ্যমান। ভবিষ্যতে সেই সমস্যার সমাধান হতে পারেন ট্রায়ালে আসা অন্তত তিনজন তরুণ ফুটবলার। যারা ট্রায়ালে গতি, কুইক পাসিং, ড্রিবলিং, বুদ্ধিমত্তা আর বল কন্ট্রোল দিয়ে নজর কেড়েছেন।
এদের মধ্যে একজন ইংল্যান্ড প্রবাসী ইমান আলম। যিনি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ‘নেইমার’ হিসেবে আলোচনায় এসেছেন। এই তালিকায় নাম আছে আরও কয়েকজন ফুটবলারের। সুইডেন প্রবাসী তাসিন হোসেইন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিতোষোক চাকমা, বার্সেলোনার যুব একাডেমি লা মাসিয়াতে ট্রায়াল দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আমির সামি।
ট্রায়ালে নজর কাড়া ফুটলারদের মধ্যে আধিক্য ছিল লেফট উইংয়েও। ট্যাকলিং, শারীরিক উচ্চতা, বল ক্লিয়ারেন্স, বডি চেক, গতিময় ফুটবল আর মাঝমাঠে বল সাপ্লাইয়ে দক্ষতা দেখিয়ে মনযোগ আকর্ষণ করেছেন কয়েকজন ফুটবলার। যারা হতে পারেন তারিক কাজী-তপু বর্মণদের উত্তরসূরী। এমন কয়েকজন ফুটবলার হলেন- ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার তোফায়েল তানিম, কাসপার হক, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জায়ান আহমেদ।
জাতীয় দলের মিডফিল্ড নিয়ে আপাতত চিন্তা নেই। হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, কিউবা মিচেলরা দায়িত্ব সামলাবেন। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয় এরপর কারা? সেই প্রশ্নের উত্তরও মিলেছে ট্রায়ালে। আগামী দিনে মাঝমাঠের কান্ডারি হওয়ার স্বপ্ন এঁকেছেন কয়েকজন। যাদের মধ্যে রয়েছে- ইংল্যান্ড প্রবাসী ইব্রাহিম নেওয়াজ, ওয়েলস প্রবাসী সামির মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওয়াইস নক্ষত্ররা।