নিউজিল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের আগে একের পর এক ইনজুরি অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতিতে এখন বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চোটের কারণে এবার আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন তারকা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তার জায়গায় দলে ডাক পেয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার জোশ ফিলিপ।
এই চোটের কারণে শুধু নিউজিল্যান্ড সফর নয়, অক্টোবরের শেষে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ম্যাক্সওয়েলের খেলা অনিশ্চিত। নেট অনুশীলনে বোলিং করার সময় মিচেল ওউনের একটি সোজা ড্রাইভ গিয়ে লাগে ম্যাক্সওয়েলের ডান কব্জিতে। স্ক্যান করার পর জানা যায়, তার কব্জি ভেঙে গেছে।
এখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শুরু হওয়া বিগ ব্যাশ লিগে তিনি ফিরতে পারেন।
ম্যাক্সওয়েলের পরিবর্তে দলে ডাক পেয়েছেন সিডনি সিক্সার্স ও নিউ সাউথ ওয়েলসের উইকেটকিপার-ব্যাটার জোশ ফিলিপ। এর আগে জশ ইংলিস চোট পেলে তখনও ফিলিপ ছিলেন বিবেচনায়, কিন্তু সেই সময় তার বদলে সুযোগ পেয়েছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি।
ম্যাক্সওয়েলের চোটের ফলে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এই নিউজিল্যান্ড সিরিজে এখন দলটি পাচ্ছে না তাদের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার ম্যাক্সওয়েল ও ইংলিসকে। এছাড়াও ক্যামেরন গ্রিনও নেই, যিনি অ্যাশেজ প্রস্তুতির জন্য ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ড খেলতে দেশে থেকেই গেছেন। তিনি ভারতের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবেন না।
এছাড়া প্যাট কামিন্স পিঠের চোটের কারণে দুটি সিরিজেই খেলছেন না এবং নাথান এলিস সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য নিউজিল্যান্ড সিরিজে অংশ নিচ্ছেন না।
ম্যাক্সওয়েল ছিলেন দলের গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার এবং পঞ্চম বোলার হিসেবে দলের প্রথম পছন্দ। তার অনুপস্থিতিতে এখন বোলিংয়ের দায়িত্ব নিতে হবে ম্যাথু শর্ট ও মার্কাস স্টইনিসকে। ক্যাপ্টেন মিচেল মার্শ আপাতত বোলিং করছেন না, তাই তিনিও অনিশ্চিত। ট্রাভিস হেডের অফস্পিন বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হলেও তিনি টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ ওভারই বোলিং করেছেন।
এদিকে, দলে ফেরা জোশ ফিলিপ ২০২৩ সালের পর আবার অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেলেন। সম্প্রতি ভারত সফরে অস্ট্রেলিয়া 'এ' দলের হয়ে দুইটি আনঅফিশিয়াল টেস্টে ১২৩*, ৩৯ ও ৫০ রানের ইনিংস খেলেন ।
তবে ফিলিপের টি-টোয়েন্টি ফর্ম খুব একটা ভালো নয়। গত দুই বিগ ব্যাশ আসরে ১৩০-এর নিচে স্ট্রাইক রেটে মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার স্ট্রাইক রেট ১০৯.৪৮। ফিলিপ সাধারণত ওপেনার হিসেবে খেলেন। তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৪ নম্বরের নিচে ব্যাটিং করেছেন মাত্র ১০ বার, তাও সবশেষ ২০২০ সালে।
নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি মাঠে গড়াবে ১ অক্টোবর। পরের দুটি ম্যাচ হবে ৩ ও ৪ অক্টোবর।