হংকংয়ের বিপক্ষে জয় নিয়ে আশাবাদী জামাল-কাবরেরা

বাংলাদেশের ফুটবলে আশার প্রদীপ হয়েছে এসেছেন হামজা চৌধুরী-শমিত সোমরা। তাদের আগমণে শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশ ফুটবল দল এখন বেশ পরিপক্ক হয়েছে। দেশের মানুষও নতুন করে আশা দেখতে শুরু করেছে ফুটবল নিয়ে। ইতোমধ্যে মিশনে নেমে পড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। লড়াই করছে এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিতে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই হামজা-জামালদের সামনে। হারলে কাগজে-কলমে সমীকরণ বেঁচে থাকলেও কার্যত শেষ হয়ে যাবে আশা।
সেই ম্যাচের আগে আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা আর জামাল ভূঁইয়া। সেখানে বেশ আশার বাণী শোনালেন তারা।
কাবরেরাও জানালেন হামজ-শমিতদের আগমণে বাংলাদেশ এখন আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আমাদের সক্ষমতা আছে, ইতিহাস গড়তে পারি। স্কোয়াডের গুণগত মান নিয়ে আমি সব সময়ই সন্তুষ্ট। তবে সাম্প্রতিক কিছু নতুন সংযোজন আমাদের দলকে আরও শক্তিশালী করেছে।’
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে হংকং। তবে কাববেরার কাছে গ্রুপের সবগুলো দলই সমমানের। কাবরেরা বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা বলেছি গ্রুপের চারটি দলই সমমানের। যদিও তাদের খেলার ধরন বা স্টাইল ভিন্ন, কিন্তু সামগ্রিক মান খুব কাছাকাছি। হংকং দল সিঙ্গাপুরের মতোই শক্তিশালী। এটা ফলাফলেও দেখা গেছে।’
হংকং ম্যাচকে সামনে রেখে বেশ কয়েকদিন ধরে ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ। অনুশীলনে কোনো কমতি রাখেনি। খুঁজে বের করেছে হংকংয়ের দুর্বলতা। সেগুলো খোলাসা না করে জামাল বললেন, ‘প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। গত কয়েক দিনে আমরা হংকং দলের শক্তি-দুর্বলতা, সবকিছু বিশ্লেষণ করেছি। কিন্তু আমি সেগুলো এখানে বলব না। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, খেলোয়াড়রা কালকে মাঠে দৃঢ়তা, ভালো খেলার তীব্রতা ও সাহস দেখাবে।’
হংকং দলে একাধিক ন্যাচারালাইজড ফুটবলার রয়েছেন। যাদের কেউ ব্রাজিল আবার কেউ ইউরোপের অরিজিন। তবে এ নিয়ে চিন্তিত নন বাংলাদেশের কোচ, 'ন্যাচারালাইজড খেলোয়াড়দের নিয়ে খুব বেশি ভাবার কিছু নেই। আমাদের প্রতিপক্ষ পুরো দল, নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড় নয়। তাই আমরা হংকং দলকেই প্রস্তুতির কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছি।'
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দুই রাউন্ড শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে সিঙ্গাপুর। সমান চার পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দুই নম্বরে হংকং। এক পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে বাংলাদেশ। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় চার নম্বরে ভারত।
আগামীকাল হংকংয়ের বিপক্ষে হারলে শীর্ষ স্থানের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান দাঁড়াবে ৬। বাকি তিন ম্যাচে এই ৬ পয়েন্টের ব্যবধান ঘুচানো কঠিন। কারণ চার দলের এই গ্রুপে একমাত্র গ্রুপ চ্যাম্পিয়নই এশিয়া কাপে খেলবে। তার ওপর বাংলাদেশকে পরের তিন ম্যাচের দুটিই খেলতে হবে প্রতিপক্ষের মাঠে।