চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরষ্কার নিয়ে বেশ আলোচনা ছিল। সেই আলোচনায় ভিন্ন মাত্রা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প। নোবেল পাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যেই বলেছেন, কয়েকটি যুদ্ধ থামিয়েছেন তিনি। তাই নোবেল পাওয়ার যোগ্য দাবিদার তিনি। শেষ অবশ্য সেটি তার হাতে ওঠেনি। তবে এবার ভিন্ন শান্তি পুরস্কার পেতে পারেন ট্রাম্প।

আগামী বছর মাঠে গড়াবে ফুটবলের বৈশ্বিক মহারণ বিশ্বকাপ। তার আগে চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে ড্র। সেই অনুষ্ঠানে প্রথমবার ‘পিস প্রাইজ’ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে ফিফা। গতকাল বুধবার সংস্থাটির সকার গভর্নিং বডি জানিয়েছে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যতিক্রমী কাজের স্বীকৃতির মর্যাদা দেওয়া হবে।

তবে ফিফার প্রথম ‘পিস প্রাইজ’ কাকে দেওয়া হবে সে বিষয়ে কিছুটা রহস্য রেখে দিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। মায়ামির আমেরিকা বিজনেস ফোরামের এক সভায় বলেন, ‘৫ ডিসেম্বর দেখা যাবে কী ঘটে!’

শান্তি পুরস্কারের বিষয়ে ফিফা জানায়, এই বছরই ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো প্রথমবার এমন পুরস্কার দেবেন। যা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ফুটবলভক্তদের পক্ষ থেকে বার্ষিক উপহার হিসেবে গণ্য হবে।

ফিফার প্রথম শান্তি পুরস্কার পাবেন কি ট্রাম্প?

‘পিস প্রাইজ’ কাকে দেওয়া হবে ফিফা সভাপতি সেটি স্পষ্ট না করলেও সেটি যে ট্রাম্পই পেতে পারেন বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাপট সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। মায়ামির আমেরিকা বিজনেস ফোরামের সেই যখন ইনফান্তিনো ‘পিস প্রাইজের’ ঘোষণা দেন, তার একটু আগেই ট্রাম্পকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তিনি খোলাখুলিই বলেছেন, ‘আমি সত্যিই অনেক ভাগ্যবান। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমার অনেক ভালো সম্পর্ক, যাকে আমি নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেও মনে করি। বিশ্বকাপের জন্য আমাদের কার্যক্রমে তিনি অনেক অনেক বেশি সাহায্য করছেন। তার শক্তি-সামর্থ্য এমন অবিশ্বাস্য, যার প্রশংসা আমি সবসময় করি।’

নোবেল দেওয়ার আগে ইনফান্তিনো জানিয়েছিলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অমীমাংসিত বিষয় ও বিভেদ নিরসনে কঠোর পরিশ্রম করে বিরোধ নিষ্পত্তি ও মানুষের মাঝে শান্তি ফেরাতে কঠোর পরিশ্রমের জন্য স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ।’

এদিকে, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় হতে যাওয়া আসন্ন বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির কার্যক্রম চলছে। আর এর অংশ হিসেবে ১০০ মিলিয়ন ডলারের এক দাতব্য কাজের প্রজেক্টে ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্পকে নিয়োগ দিয়েছে ফিফা।