কেউ এসে পরিবর্তন করে দিয়ে যাবে না, তরুণদের আসতে হবে : ড. দেবপ্রিয়
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আমরা যদি নিশ্চুপ থাকি, তাহলে আটলান্টিকের ওপার থেকে কেউ এসে পরিবর্তন করে দিয়ে যাবে না। আমাদের এক তৃতীয়াংশই তরুণ। তারা যদি ভূমিকা না রাখে তাহলে কেউ এসে পরিবর্তন করে দিয়ে যাবে না।
রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজি বাংলাদেশ আয়োজিত অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও ন্যায্যতার লক্ষ্যে নাগরিক এজেন্ডা শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ড. দেবপ্রিয় এসব কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, নির্বাচনি ইশতেহারে আগামী দিনের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তার কোনো পর্যালোচনাই এবার হলো না। যে কারণে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কাছেই পৌঁছাল না। এতে গণতন্ত্রের বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হলো। ইশতেহারটা একটা রাজনৈতিক শূন্যতার মধ্যে দিয়ে এসেছে। ফলে সরকার, রাজনীতি ও দেশের মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, জবাবদিহি না থাকলে বৈষম্য বাড়ে।
নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক বলেন, এ ধরনের নির্বাচন এর আগেও দেখেছি। ১৯৮৮ ও ১৯৯৬ সালে দেখেছি। নির্বাচন যদি বহু মানুষের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে এর ফলাফলও টিকিয়ে রাখা কঠিন। আগামী দিনে অর্থনীতি যেভাবে জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি আগামী দিনে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এই উৎকণ্ঠা সবার মাঝে।
এই নির্বাচনকে ‘বিশেষ নির্বাচনি তৎপরতা’ উল্লেখ করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, এটাকে সাধারণভাবে আমরা নির্বাচন বলছি। আমি বলি, এটি একটি বিশেষ নির্বাচনি তৎপরতা। এর ফলে ইতিহাসের কাছে নাগরিকদের দায় বেড়ে গেল। আগামী দিনে আমাদের ভূমিকা আরও বাড়বে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যে যতবার নির্বাচিত হয়েছে, গাণিতিক হারে তার সম্পদ তত বেড়েছে। অনেকেরই দেখা গেছে, সম্পদের পরিমাণ ৫০০ গুণ বেড়েছে। এনবিআর কি কখনও সেই খোঁজ নিয়েছে?’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রার্থীদের সম্পর্কে আমরা জানতে পারি হলফনামার মাধ্যমে। সেখানে যে সম্পদ ও ট্যাক্সের বিবরণ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর কখনও তুলনামূলক বিশ্লেষণ হয়? যদি তাই হয়, তাহলে অনেকেরই দেখেছি আয় ৫০০ গুণ পর্যন্ত বাড়ল। তাহলে তিনি কি সে হারে কর দিয়েছেন? আমি মনে করি, আগামী দিনে এটা খুঁজে বের করা এনবিআরের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ।’