বর্ষার শুরুতেই চলুন ভাসমান পেয়ারাবাজারে

Looks like you've blocked notifications!
ভাসমান পেয়ারাবাজার। ছবি : সংগৃহীত

ধান, নদী ও খাল এই তিনে বরিশাল। দক্ষিণের জনপদ বরিশালে চারদিকে জালের মতোই ছড়িয়ে আছে নদী ও খাল। এই খালগুলো বর্ষায় হয়ে ওঠে চিরযৌবনা। প্রতিটি খালবিলে বিভিন্ন পয়েন্টে হাটবাজার বসে। বিশেষ করে জুলাই-আগস্ট মাসে পেয়ারার মৌসুমে জমজমাট হয়ে ওঠে এলাকাটি।

ঝালকাঠি, বরিশাল ও পিরোজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার একাধিক গ্রামে গড়ে উঠেছে এই পেয়ারাবাগান। এর সঙ্গে জড়িত অসংখ্য পরিবার। পানির উপরেই গড়ে উঠেছে এই পেয়ারার বাজার, যেখানে প্রতিদিন পেয়ারার হাট বসে। নৌকায় করে শত শত মণ পেয়ারা আসে, আবার নৌকায় করেই কিনে নিয়ে যায় অনেকে। চমৎকার একটি নয়নাভিরাম দৃশ্য। পেয়ারা দেখতে এবং খেতে এবার ঘুরে আসতে পারেন ভাসমান পেয়ারাবাজার।

ভাসমান পেয়ারাবাজার সাধারণত জুলাই ও আগস্ট মাসে প্রতিদিন সকালে বসে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে কেনাবেচা। ভীমরুলি, আটঘর, জিন্দাকাঠী, ডুমুরিয়াসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভাসমান হাট বসলেও সবচেয়ে বড় ভাসমান বাজার হচ্ছে ভিমরুলী।

যাতায়াত

ঢাকা থেকে লঞ্চ কিংবা বাসে বরিশাল আসতে হবে। বরিশাল থেকে বাস কিংবা মাহিন্দ্রা করে বানারীপাড়া ট্রলারঘাট কিংবা স্বরূপকাঠি ট্রলারঘাট যেয়ে সারা দিনের জন্য ট্রলার (ভাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা) নিয়ে ঘুরতে পারেন। একটি ট্রলারে ২০/২৫ জন ঘুরতে পারে।

থাকা-খাওয়া

পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থাসহ সম্প্রতি জিন্দাকাঠী এলাকায় পেয়ারাবাগানের মধ্যেই গড়ে উঠেছে ন্যাচারাল ট্যুরিজম অ্যান্ড পিকনিক স্পট (পেয়ারা পার্ক)। এ ছাড়া স্থানীয় রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

তো আর দেরি না করে চলুন যাই এই বর্ষায় ভাসমান পেয়ারাবাজারে।