বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে উপস্থাপনে ‘অফরোড বাংলাদেশ’

বাংলাদেশ বৈচিত্র্যের দেশ, এ দেশের রয়েছে বহু পর্যটন স্পট। তবে পর্যটনশিল্পে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার প্রধান ও অন্যতম কারণ পজিটিভ ব্র্যান্ডিংয়ের অভাব। সে ব্র্যান্ডিংয়ের অভাব পূরণের লক্ষ্যে আবির্ভূত হয়েছে ‘অফরোড বাংলাদেশ’, বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পকে সহায়তা প্রদানের একটি অনলাইন ক্রাউডসোর্স-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম : www.offroadbangladesh.com।
অনলাইনভিত্তিক কাজের পাশাপাশি বাংলাদেশের যথার্থ ব্র্যান্ডিং, প্রচারণা এবং সর্বোপরি বিশ্বপর্যটকদের কাছে বাংলাদেশকে একটি প্রথম সারির পর্যটন গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই এর লক্ষ্য।
২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশের সৌন্দর্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার উদ্দেশ্য থেকে আবির্ভাব হয় অফরোড বাংলাদেশের। এ উদ্দেশ্যকে সফল করার লক্ষ্যে এমন একটি ক্রাউডসোর্স ওয়েব প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে যা প্রত্যেক ভ্রমণকারীর জন্য একটি ফলপ্রদ ভ্রমণ গাইড হিসেবে কাজ করবে। ভ্রমণ-সংক্রান্ত জায়গার পাশাপাশি ভ্রমণ বিষয়ক যেকোনো তথ্য দিয়েও সহযোগিতা করবে এই ওয়েবসাইট।
যেহেতু বাংলাদেশের মাধুর্য ও বৈচিত্র্যকে বর্ণনা করে এমন অপরিহার্য অংশ তুলে নিয়ে আসা এর উদ্দেশ্য, সেহেতু সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান, সংস্কৃতি, উৎসব, ঐতিহ্য, শিল্প, ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, বন্য প্রাণী, নদ-নদী, ধর্মীয় স্থাপনা, জীবনধারণ ইত্যাদি তুলে ধরা হচ্ছে এই প্ল্যাটফর্মে।
এই ওয়েব পোর্টালের আরেকটি সুবিধা হলো যে কেউ এই ওয়েব পোর্টালে বাংলাদেশের পর্যটন সংক্রান্ত তথ্য সংযোজন অথবা সংশোধন করতে পারবেন। এটি এমন একটি ভার্চুয়াল মিলনমেলা যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা খুব সহজে তাদের ভ্রমণ সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলোও একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারবেন।
অফরোড বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরো প্রতিষ্ঠা করেছে একটি অলাভজনক সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘অফরোড বাংলাদেশ ক্লাব’। অফরোড বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে যোগ দিতে পারেন।
অফরোড বাংলাদেশ এর জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুন নাহার মায়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমাদের দেশ ছোট হলেও এর রয়েছে সহস্রাধিক বছরের ঐতিহ্য, ইতিহাস, ১৬ কোটির বেশি মানুষ এবং হাজারো বৈচিত্র্য; কাজেই আমরা বিশ্বাস করি এ দেশ অবশ্যই বিশ্বের প্রথম সারির একটি পর্যটন গন্তব্য হিসেবে নিকট ভবিষ্যতে আত্মপ্রকাশ করবে।’