অপহরণের নাটক সাজানো যুবককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
অনলাইন জুয়াতে ৭০ হাজার টাকা লোকসান হওয়ায় স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থেকে অপহরণের নাটক সাজানো আবু বক্কর সিদ্দিক (২৩) নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে সিআইডি।
আবু বক্কর সিদ্দিক জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের বাদিয়ার মোড় চৈতন্য এলাকার ময়নুল ইসলামের ছেলে।
সিআইডি জানায়, গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা সাভার সেনানিবাস এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে সিআইডি নীলফামারী শাখা। অনলাইন জুয়ায় ৭০ হাজার টাকা লোকসান হওয়ায় নিজেই আত্মগোপনের পরিকল্পনা করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। আত্মগোপনে থেকে মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করে মুক্তিপণ দাবি করলে মামলা করে পরিবার। তদন্তের এক পর্যায় সিআইডি জালে আটকা পড়েন এই যুবক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গেল ৯ সেপ্টেম্বর তাঁর নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরেনি সিদ্দিক। খোঁজাখুজি করেও না পাওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বর থানায় মামলা করেন তাঁর বাবা ময়নুল। এক পর্যায়ে সিদ্দিকের বড় ভাই ও মামার নম্বরে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি সিআইডির কাছে গেলে নয়দিনের প্রচেষ্টায় আত্মগোপণে থাকা ওই যুবককে আটক সিআইডি।
নীলফামারী সিআইডির পরিদর্শক রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘অনলাইন জুয়া খেলে তিনি ৭০ হাজার টাকা লোকসানের মধ্যে পড়ে। তাঁর বড় ভাইয়ের কাছে ঋণের দশ লাখ টাকা ছিল। সিদ্দিক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করেন নিজেকে আত্মগোপনে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের মাধ্যমে।’
সিআইডির পরিদর্শক রেজাউল বলেন, ‘আটক হওয়ার পর তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ বিচারকের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করেন পরিকল্পিতভাবে অপহরণের এই নাটক সাজান তিনি। চার মাস আগে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা শুরু করলেও অনলাইন জুয়া চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন সিদ্দিক। আদালতে সিদ্দিকের মামা রবিউল ইসলাম ও পরিবারের অন্যান্যদের উপস্থিতিতে তাঁকে হস্তান্তর করে সিআইডি।’