আগুনে পুড়ে ছাই রংপুরের কয়েল কারখানা
রংপুরের কাউনিয়ায় হারাগাছ এলাকায় আগুনে পুড়ে গেছে কয়েল উৎপাদনের একটি কারখানা। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মী। তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার গফুরটারি গ্রামে নিসাত কয়েল কোম্পানি নামে ওই কারখানায় গতকাল শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
হারাগাছ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ গোলজার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কারখানা কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিকেল তিনটার দিকে নিসাত কয়েল কারখানায় কয়েল শুকানো ডায়ার (আগুনের চুল্লিতে) আগুন লাগলে কর্মরত শ্রমিকরা তা নিভানোর চেষ্টা করে। আগুনের তীব্রতা এবং ধোঁয়া তীব্র হওয়ায় শ্রমিকরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সেখানে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়।
গোলজার রহমান জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কারখানার ভিতরে আগুনে পুড়ে যাওয়া প্লাস্টিক ও কয়েলের তীব্র ধোঁয়ায় সে সময় আহত হন ফায়ার সার্ভিস দুই কর্মী আল মামুন শাকিল ও রকি রানা। তাদেরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে রকি রানার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গোলজার রহমান আরও জানান, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নিসাত কয়েল কারখানাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অগ্নি নির্বাপণ সরঞ্জাম ছিল না। দুই একটি অগ্নি নির্বাপণ সিলিন্ডার থাকলেও সেটিও ব্যবহারে দক্ষ কেউ ছিল না। এ কারণেই অগ্নিকাণ্ডে কারখানাটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কারখানাটির ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন জানান, কারখানায় সারাদিন যে পরিমাণ কয়েল উৎপাদন হয়। সেগুলো রাতে আগুনের চুল্লি ডায়ারে শুকানো হয়। রাতে কর্মরত শ্রমিকদের অবহেলার কারণে হয়তো এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিদ ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘কীভাবে আগুন লাগলো তা বুঝতে পারিনি। তবে ডায়ারের ভিতরে তাপ বেশি হওয়ার কারণে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে কারখানার একটি ডায়ারের মটর, আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও সারাদিনের উৎপাদন হওয়া কয়েলসহ ১৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।