আবহাওয়া অনুকূলে, বসল পদ্মা সেতুর ৩৪তম স্প্যান
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ৭ ও ৮ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয়েছে ৩৪তম স্প্যান ‘টু-এ’। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে স্প্যানটি বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের। এর ফলে দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মা সেতুর পাঁচ হাজার ১০০ মিটার, অর্থাৎ ৫ দশমিক ১ কিলোমিটার অংশ।
প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের জানান, গতকাল শনিবার বিকেলে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ক্রেনের মাধ্যমে স্প্যানটি নির্ধারিত পিয়ারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
পদ্মা সেতু-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৩৪তম স্প্যানের পর আগামী ৩০ অক্টোবর ২ ও ৩ নম্বর পিয়ারের ওপর ৩৫তম স্প্যান ও ৪ নভেম্বর ৩৬তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বাসানোর নির্দেশনা রয়েছে সেতু সচিবের। এর আগে গত ১৯ অক্টোবর ৩৩তম স্প্যান বসানো হয়েছিল।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৩৩টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর চার হাজার ৯৫০ মিটার অংশ।
৪২টি পিয়ারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সবকটি পিয়ার দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে।