আমাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে, আমি নির্দোষ : জি কে শামীম

Looks like you've blocked notifications!
জি কে শামীম। ছবি : সংগৃহীত

অস্ত্র আইনের মামলায় যুবলীগের কথিত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমসহ আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় শেষে জি কে শামীম বলেন, ‘আমাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

আজ রায় ঘোষণার আগে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় জি কে শামীমকে।

যাবজ্জীবন পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন—মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন। এরা জি কে শামীমের দেহরক্ষী।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সালাউদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিচারক তাঁর রায়ে সব আসামির লাইসেন্স করা অস্ত্র রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

পিপি আরও বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাই তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন আদালত।’ 

এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর রহমান অণি বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’

২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর জি কে শামীমের অস্ত্র মামলায় তদন্তসংস্থা র‌্যাব আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপরে মামলাটি বিচারের জন্য এই আদালতে এলে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

নথি থেকে জানা গেছে, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ও মদ জব্দ করে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়।