আমার দোষ স্বীকার করছি স্যার, আমি অনুতপ্ত : ইকবাল

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

কুমিল্লা নগরের নানুয়ার দিঘির উত্তর পারে অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনার প্রধান আসামি ইকবালকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় দেন।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মামলায় কুমিল্লার ইকবাল আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। আদালত আসামি ইকবালকে ১ বছর ৪ মাস কারাদণ্ড দেন।

পিপি নজরুল ইসলাম আরও জানান, এ মামলার প্রধান আসামি রোকন মিয়াও আদালতে দোষ স্বীকার করেন। পরে গত বছরের ১৬ আগস্ট তার ১ বছরের সাজা হয়। তিনি বলেন, আজ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। মামলার বাদী টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই রাজীব হোসেনসহ ৫ জন সাক্ষ্য দেন। ইকবাল হোসেনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

সে সময় বিাচারক তার কাছে জানতে চান, সাক্ষীদের জেরা করবেন কি না? তখন ইকবাল বলেন, ‘আমি আর কী জেরা করবো স্যার। আমি আমার দোষ স্বীকার করছি। আমি অনুতপ্ত। আমি আর অপরাধ করব না।’এরপর আদালত দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এক বছর চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

এজাহার থেকে জানা গেছে, দুর্গাপূজার মধ্যে ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘিরপাড়ে একটি পূজামণ্ডপে ‘কোরআন অবমাননার’কথিত অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়।

এ ঘটনায় গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই (উপ-পরির্দশক) রাজীব হোসেন মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে এসআই অহিদ মিয়া রোকন মিয়া ও ইকবাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত বছর ২৯ জুন দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।