আমার নামেও লঞ্চ ঘাটে চাঁদাবাজি হয় : বরিশালের ডিসি
বরিশালের জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসীম উদ্দীন হায়দার বলেছেন, ‘আমার নামেও লঞ্চ ঘাটে মালামাল পরিবহণে চাঁদাবাজি হয়। এমন ঘটনার ভিডিও ভুক্তভোগীরা মোবাইলে ধারণ করেছেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আমি তা জানতে পেরেছি।’
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে লঞ্চে যাত্রী চলাচল নির্বিঘ্ন করতে গতকাল মঙ্গলবার বরিশালে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বরিশাল জেলা প্রশাসক। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘বরিশাল লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের পণ্য পরিবহণে যদি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়, তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে নৌ-দুর্ঘটনা এড়ানোসহ লঞ্চ ঘাটে যেকোনো ধরনের অরাজকতা দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত কাজ করবেন।’
জসীম উদ্দীন বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চের টিকিটের কালোবাজারি রুখতেও বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ ধরা পড়লে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় লঞ্চ মালিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক।
অতিরিক্ত জেলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুর রহমান, নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ন কবীর, বিআইডব্লিউটিএ’র উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক আরাফাত হোসেন, এনডিসি সুব্রত বিশ্বাস দাস ও কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিসহ লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্যেরা।