ইটভাটার তাপে ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ বিঘা জমির ধান
ইটভাটার তাপে ২০০ বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়ে গেছে ধানের শীষ। ধানকাটা মৌসুমের আগমুহূর্তে ঢাকার ধামরাইয়ে ঘটে গেল এমন ঘটনা। এতে পথে বসতে চলেছেন ওই সব জমির কৃষক। একদিকে, ঋণের বোঝা—অন্যদিকে, খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। এ নিয়ে আজ শুক্রবার মানববন্ধন করেছেন কৃষকেরা।
যদিও এর আগেই স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা। আর, ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
আজ শুক্রবার সকালে ধামরাই উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, প্রায় চার বছর আগে সোমভাগ ইউনিয়নের নওগাঁও গ্ৰামে কৃষিজমির ওপর এমবিএন-২ ব্রিকস নামে ইটভাটা করা হয়। এর মালিক মুজাহিদ হোসেন। সে ইটভাটার আগুনের তাপে ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়ে কালো হয়ে গেছে। এতে খাদ্য নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
ধামরাইয়ের গুতুল, হাজীপাড়া, চন্দ্রপাড়া এবং ডেমরান গ্ৰামের কৃষকরা জানান, তাঁদের জমিতে বেশ ভালো ধান হয়েছিল। এখন ধান কাটার মৌসুম। কিন্তু, তার আগেই আগেই তাঁদের ফসল পুড়ে গেছে। ইটভাটার আগুনের তাপে তাঁদের ফসল পুড়ে গেছে বলে দাবি করছেন তাঁরা।
সোমভাগ ইউনিয়নের নওগাঁও এলাকার কৃষক আব্দুর রফিক জানান, তাঁর একটি ৬০ শতাংশ খেত এবং আরেকটি ৪৮ শতাংশ খেতে ইরি ধান চাষ করেছিলেন। তাঁর সবই এখন শেষ।
একই অভিযোগ রেজাউল করিমের। তাঁর তিনটি জমির ১৫৬ শতাংশ জমির ধান পুড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, ইটভাটার উত্তাপের কারণেই আশপাশের ইরি ধানের জমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধানের শীষ পুড়ে গেছে।
কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ জকি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’