ইভ্যালির রাসেলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাঁকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে রাসেলের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত মো. রাসেলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। ওই দিনই মামলাটিতে রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাসেলের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর তাঁর স্ত্রীর রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলেই রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ১৭ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার মামলায় ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানায়, রাসেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ইভ্যালির গ্রাহক সংখ্যা ৪৪ লাখেরও বেশি। শিশুদের নানা পণ্যের ব্যবসা ছেড়ে সামান্য পুঁজি নিয়ে রাসেল ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দায় ছিল ৪০৩ কোটি টাকা, যেখানে তাদের সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা।