নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর

ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ ১৫ জুন 

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফাইল ছবি এনটিভির

সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়েছে। আজ সোমবার (১৫ মে) সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও আজও আসেননি কোনো সাক্ষী। এর ফলে, সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আজ এই আদেশ দেন। আদালতে কোনো সাক্ষী না আসায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৫ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।

ইরফান সেলিম বাদে মামলার অন্য চার আসামি হলেন—তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মীজানুর রহমান, মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন। এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মীজানুর ও দীপু জামিনে মুক্ত আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।

নথি থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান ও নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ছাড়া নৌবাহিনীর কর্মকর্তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দুই দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমণ্ডি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মমিনুল হক পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আর গত ৮ ফেব্রুয়ারি একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।