ইসির বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনে ১০১ আইনজীবীর আবেদন
অনিয়ম, দুর্নীতি ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করবেন সুপ্রিম কোর্টের বিএনপিপন্থী ১০১ আইনজীবী। এ আবেদন নিয়ে তারা আজ বঙ্গভবনে যাবেন বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ১০১ আইনজীবীর নেতৃত্বে থাকা সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
ব্যারিস্টার খোকন জানান, অ্যাডভোকেট আফজাল এইচ খান, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজাসহ ১০১ জন আইনজীবী আজই রাষ্ট্রপতির কাছে ইসির বিরুদ্ধে আবেদন নিয়ে যাবেন।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের আবেদন করেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতির কাছে এ আবেদন করেন তাঁরা। এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলার জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে অনুরোধও জানিয়েছেন। এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।
দেশের ৪২ জন নাগরিকের পক্ষে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও রাশেদা কে চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার ও মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. শাহদীন মালিক বলেন, আমরা সবাই মনে করেছি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর নির্বাচন কমিশন যেসব কার্যকলাপ করেছে সেগুলো গুরুতর অসদাচরণ। সাংবিধানিক পদে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের। দুদক বা পুলিশ এটা করতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দিতে পারেন। এ প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি- গুরুতর অসদাচরণের দায়ে তারা দোষী প্রমাণিত হবেন। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাদের পদ থেকে অপসারণ করবেন।
এরপর গত ৩১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে অতিরিক্ত কিছু তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আরো একটি চিঠি দিয়েছেন দেশের এ ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক।