ইয়াসের প্রভাবে চট্টগ্রামের উপকূলীয় লোকজনের দুর্ভোগ চরমে
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে চট্টগ্রামের পতেঙ্গাসহ বিভিন্ন উপজেলার উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কয়েকটি কন্টেইনার ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে।
আজ বুধবার দুপুরের পর সাগরে পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। এ সময় পতেঙ্গাসহ উপকূলীয় বিভিন্ন বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে জোয়ারের পানি। বাঁশখালীর শেখেরখীল, চনুয়া, খানখানাবাদ, পোমরা ইউনিয়ন, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি, সৈয়দপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা, উত্তর বগাচরসহ কয়েকটি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে প্লাবণের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নিম্নাঞ্চলের লোকজনের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
এ ছাড়া পতেঙ্গার সমুদ্র সৈকতে বাঁধ দিয়ে উপচে পড়ছে সাগরের ঢেউ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরে চলছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। তবে বৃষ্টির কারণে বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ভরা জোয়ারে বন্দরের নিচু ইয়ার্ডগুলোতে পানি উঠার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে নেমে যায়। এ কারণে বন্দরের ইয়ার্ডে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। এখনো পণ্য উঠানামাসহ জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রাখা হয়। সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সাধারণের অবস্থান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় নৌবাহিনীর ১৮টি জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে।