ঈদযাত্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া লুটে নেওয়া হচ্ছে : যাত্রী কল্যাণ সমিতি
ঈদযাত্রায় আট হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ও চাঁদাবাজেরা লুটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
পরিবহণ সংকটের সুযোগে একশ্রেণির অসাধু মালিক ও পরিবহণ চাঁদাবাজদের নেতৃত্বে ভাড়া নৈরাজ্যের শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তাঁরাই এ হরিলুট করছেন বলে দাবি মোজাম্মেল হক চৌধুরীর। তিনি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছেন, ‘অবিলম্বে ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এসব অভিযোগ ও দাবির কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সড়কে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাত্রাপথে বিভিন্ন বাসে যাত্রী প্রতি ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। রংপুর রুটে এক হাজার টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে এক হাজার ৮০০ টাকা।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘বরাবরের মতো আকাশপথে ভাড়া নৈরাজ্য চরমে পৌঁছেছে। চার হাজার টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে দশ হাজার আটশ টাকা। তিন হাজার টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে সাত হাজার চারশ টাকা।’
নৌপথেও ভাড়ার নৈরাজ্যের চলছে উল্লেখ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ডেকের ভাড়া ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করা হয়। সে ভাড়া ঈদ উপলক্ষ্যে হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।’
রেলে সার্বিক অব্যবস্থাপনার টিকিট না পেয়ে ৩৫০ টাকার টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ টাকায় কেনার খবর গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এবার সড়ক পথে ৪০ কোটি ট্রিপ যাত্রায় যাত্রী প্রতি গড়ে ১০০ টাকা বাড়তি দিলেও প্রায় চার হাজার কোটি টাকা এবং নৌ, রেল ও আকাশ পথে ২০ কোটি ট্রিপ যাত্রায় যাত্রী প্রতি গড়ে ২০০ টাকা অতিরিক্ত আদায় হলে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া আদায় হবে। এবারের ঈদে আট হাজার কোটি টাকার বেশি ভাড়া নৈরাজ্যকারী সিন্ডিকেটের পকেটে যাবে।’